ঐ যে শরীর থেকে তনু বিচ্ছিন্ন করে, তোমার রুপ
তোমাকে অহনিশি দর্শনে নিরন্তন তোমায় ডাকি ।
দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন ঐ যে প্রাণের আরতি---
তোমায় দেখি অসংখ্যবার, রৌদ্র ঘ্রাণে মিশে আসমান জমিনে ।


               ঐ দূর থেকে দূরে;
অদৃশ্য ধ্বনি মাধুর্যে,দৃষ্টি-অদৃষ্টির অতীত;শব্দাতীত নক্ষত্রলোকে ।
এই যে ইন্দ্রিয় চেতনায় আমাদের বোধ,
ভালো-মন্দ সুখ-দুখে;পৃথক করে কেবল দুখ কিংবা সুখ,
একক অস্তিত্ব নিয়ে অনুভূতির অনন্ত নির্যাসে
বিচরণ করে নরক কত কাল পৃথিবীর নর্দমায় ।
অথবা,মনুষ্যহীতার বিভৎস দহনে !


অথচ কোথায় সে স্বর্গ কোথায় সে নরক,
      দিব্য জ্ঞানে খুজেছি কতকাল ।
এখানে এই মর্ত্যলোকে নিত্য স্বর্গ-নরক রটে অখণ্ড
      ক্ষুদ্র প্রাণের সে এক প্রকাণ্ড কাণ্ড!
পৃথিবীর এই বেষ্টনি মাঝে আমরা মায়া জালে;
গুটিকতক প্রাণ,স্বর্গ-নরক আমাদেরই নিত্য খেলাগৃহ ।।