জানি দিন ফুরালে
রাতের কোন এক আঁধারে
আকাশ ধ্রুবতারা জ্বলে,
ঐ দূর সত্য;
তবুও দেখা মেলে।
কাছের কিবা দূরের
আপন কিবা পর,
রাতকে ঘিরে এই যে জ্যোত্স্নার আলো
নি:শ্বাসে বায়ু  মিশে একাকার ।
যে বিন্দু শূন্যে আঁকে রেখা
শস্যদানা ফসলে ফসলে মাঠ,
দৃশ্যালোকের এই যে নিত্যতা
তোমাকে ছুঁয়ে,তোমার শরীর
বাতাসের ঘ্রাণ-জল-সূর্যের আলো।
তবু এ ও কী সত্য !
স্তব্ধতার বুকে আঁধার,
দৃষ্টিহীন গহ্বরে চোখ
কুয়াশা ভেসে ভেসে
কোন এক অদৃশ্যালোক ।


জানি আমি-তুমি আমাদের ভাঙ্গা-গড়া
মুছে যায়,পৃথিবীর পথ রেখায় ।
শুধু তার চেনা গল্প গুলো
অনন্ত কাল বেচে রয়,
ধরণীর আলো-হাওয়া
ক্ষয়ে যাওয়া নক্ষত্রের গায়ে।
হয়তো আমি-তুমি সঞ্চিত বিশ্বপটে
এই আকাশ তলে
রেখে যাই সোনালি স্বপ্ন,
কৃষ্ণ গহ্বরে ঢেকে যায় পৃথিবীর সুখ-দুখ।
তবু এই পথে,হাতে-হাত রেখে
জানি তুমি আসো-আসবে---
কে কবে কোথায়-কী বা আছে বলো ভিন্ন,
কোন কিছুই তার নয় বিচ্ছিন্ন !


এই যে তথাকথিত যাপিত জীবন
মহাশূন্য দিশেহীন তারকাপুঞ্জে
জ্বলে-জ্বলে শান্ত-ম্লান মুছে কোন এক কাল।
তবুও একদিন;
জানি তুমি প্রেম
কিংবা আমারই মতন,
বিস্ময় পৃথিবীর পথ
চেয়ে রবে আমারই চোখে!!