ভালোবাসাটা খুঁজছি!
জন্মের পর থেকে প্রটিটা মুহুর্তে আমি ভালোবাসাটা খুঁজছি...
তখন সবে ১৪,
নটিনী গোলাপ দিয়ে প্রথম বলেছিল ভালোবাসি।
স্তদ্ধ হয়ে তাঁকিয়ে ছিলাম তার পানে,
সে ফিরে গেল।
১৪ পেরিয়ে ১৭ র বাতাসে গা ভাসাতেই
ফুলবাগানের কোমল ফুলটিকে দেখে
মুচ্ছা গিয়েছিলাম আমি;
আমার ফুল বাগানে তাকে সাজিয়ে রাখবো ভেবেছিলাম;
বলতে পারিনি আমি মনের কথা!
সেও নিশ্চুপ রয়েছিল সারা দিনটাই।
১৮ মাঝামাঝি নিরাঞ্জনের পরীর প্রেমে
পাগল হয়েছিলাম,
তবে সে তো নিরাঞ্জনের!
আবার ফেরার পালা।
ভালোবাসাটা খুঁজছি!
জন্মের পর থেকে প্রটিটা মুহুর্তে আমি ভালোবাসাটা খুঁজছি...
১৯ এসেছিল নিরু,
জাপটে ধরে বারংবার বলেছিল ভালোবাসি,
তার চোখে দেখেছিলাম অদ্ভুত এক খিদে।
ফিরিয়ে ছিলাম তাকেও,
হাতের কলমটি যেদিন ছন্দ বাঁধতে শিখেছিল
মুদ্ধ হয়েছিল পলাশ,
দুবছরের বড়ো পলাশ
গোপনে বলেছিল ভালোবাসি।
সাই দিয়েছিলাম;
হঠাৎ এক দমকা হাওয়ায়
উড়িয়ে নিয়েছিল তার পাতা।
তার সুত্রেই আরো এসেছিল একজন,
তাকেও ফিরতে হয়েছিল।
পথ পেরোয় স্টেশন পেরোয়,
মাইলের পর মাইল পেরোয়,
একদিন কুঞ্জ বনে শুনেছিলাম তার গান
মুদ্ধ হয়ে বলেছিলাম ভালোবাসি,
শরীর বাড়ে মন পরে থাকে মাটি কাঁদার জীবনেই।
অতীত হয় সে বর্তমান হেসে মন কাড়ে।
ভালোবাসার প্রতিবেদনে ব্যার্থ হয়ে ফিড়ি।
দিন যায় বড়ো হই।
ভালোবাসাটা খুঁজি,
কবিতারা নিজের শরীরের দাবি করে
তাদের কথা রাখতে আবছা হয়
সব চেনা মুখ।
স্টেশনের পর স্টেশন পিছলে যায়
জানলা দিয়ে শুধু দেখি
আর দেখি,
স্টেশন পেরোয়
ভালোবাসাটা খুঁজি।
বসন্ত পেরোয়
ভালোবাসাটা খুঁজি।
কবিতায় মাঝে মুছে যাওয়া মুখগুলিতে
ভালোবাসা খুঁজি।