কবিতা চরম স্বেচ্ছাচারী, চিরকালই উন্মুক্ত নারী!
নিত্য মিলনে নিত্য বিরহ; নেই বিপাকীয় এনজাইম;
ধ্রপদী চেতনা থেকে আজ অবধি নৈরাশ্যবোধ!
প্রহসন কিংবা রহস্যের নবায়নযোগ্য শক্তি;
শুনেছি স্বর্গেও নাকি নর্তকী থাকে,
ইউরোপের অস্তিত্ববাদের মতই!
বিশ্বসভ্যতার প্যারাডক্সিক্যাল বিন্যাস-সমাবেশ,
এতটায় জটিল যেন শূন্যে ভাসে...
মর্মভেদী ব্লাকহোলের মতই  জটিল!
অবাক লাগছে বোধহয়; সত্যিই বলছি-
কবিতা চরম স্বেচ্ছাচারী, চিরকালই উন্মুক্ত নারী!


প্রখর কল্পনাশক্তি, মানবধর্ম, চিত্রকল্প সবই পাবে সেখানে।
কী নেই কবিতায়? প্রাচ্য-প্রাশ্চাত্য, একাল- সেকাল,মহাকাল;
আছে আবেগ, ছন্দ, অলঙ্কার আর উপচে পড়া রসের  ভীড়!
এ যেন কবির অবিনাশী সত্তা, অমর, অজয়, অক্ষয়!
তৃপ্তির অজ¯্র ঝংকার; হোক না সেটা সাদা-কালো অথবা রঙিন ঘুড়ি।
কল্পনার রাজ্যে ভাবের সঙ্গম; ঠোঁটের সাথে ঠোঁট,
জিহবার সাথে জিহবা, রক্তের সাথে রক্ত, শরীরের সাথে শরীর!
পাবে সমকালের স্মৃতি-বিস্মৃতি;স্বপ্ন ভেদ করা -
এক আকাশ ভালোবাসা, এক মুঠো রোদ্দুর,
কাব্যবিকীরণের আজব খেলায়!


ভূমিষ্ঠ হয় একটা শিশু; আবেগ নির্ভর-যুক্তির ভারশূন্য রিদম,
মায়ের অংকে বসে বাবার আঙুল ধরে হাঁটার মতন,
কখনো সুখের তীব্র স্থিতিস্থাপকতা, কখনো দুঃখের যৌন-পীড়ন!
কখনো শোকাহত হৃদয়ের আর্তনাদ, আকাশ-ঝরা কাঁন্না!
কখনোবা সংগ্রামী স্বশস্ত্র সৈনিকের নির্ঘুম রাতের বাসরি,
ঠিক যেন রোমান গ্ল্যাডিয়েটরের দুঃসাহসী কাহিনি!
বুঝি না তবে অনুভব করি -কবিতার ভর, বেগ কিংবা শক্তির দাপট!
কবিতার জন্যই কবিতা সৃষ্টি; আর কারো জন্য নয়;
কবিতা চরম স্বেচ্ছাচারী, চিরকালই উন্মুক্ত নারী!