আমার উত্তপ্ত কিশোর বেলার একটা স্বপ্ন ছিলো,
মুগ্ধতার তরঙ্গে দ্বিধার নীহারিকা এঁকেছিলাম,
টগবগে রক্তের কণিকায় সর্বনাশের প্রথম প্রহর লিখলাম,
নিজেকে টেনে দেখলাম বিপন্ন ঝড়ে নিঃশ্বাসের প্রসন্ন আলো|


হৃদপিন্ডের ফোঁটায় ফোঁটায় যেন অগ্নি বালিকার বিরহী চোখ,
সহসা নিভৃত চারিণীর তাড়ানায় পাল্টায় বইয়ের ভাষা;
বিনিদ্র রজনীর সাথে পাল্লা দিয়ে জোছনার নায়ে আসে
আবেগের নতুন অসুখ,
এ যেন অন্য আমি উর্দ্ধগামী দেখছি অতৃপ্ত নেশা|


লীলাবতীর লাজুক হাতে সঁপেছিলাম শিহরিত চুমো,
দ্বৈত অস্তিত্বের বেলাভূমিতে রেখেছিলাম আহত ঝিনুক কুড়ানো|


কিশোর বেলার পাগলামীতে প্রেমের মই চড়তে গিয়ে,
খুশি হতাম ভুল বানানের পুষ্প চিঠি পেয়ে|
পৃথিবী যেন হরেক রকম নৌকা আর আমি তার এক মাঝি,
খেয়া পারের ঠিকানা হাতে যমুনাতে বৃন্দাবন খুঁজি|


আজও ইচ্ছে করে উত্তপ্ত কিশোর বেলার স্বপ্নে থাকি বাঁধাহীন,
প্রতিটি শাপলা শালুকের জলে ডুবে থাকি প্রতিদিন;
মৃত্যুময় ঠোঁট নিয়েও হাসতে চাই দ্বিধাহীন,
ইচ্ছে করে থেকে যাই অতীত যুক্তিতে এখনো অমলিন|