ঘন ঘোর আঁধারে বর্ষামতির কাঁধে তোমারে করিনু বপন,
মেঘ বন্দনার অশ্রুজল ছায়ায় আপনারে করিনু সমর্পণ|
শিশুকাল হইতে কুড়ায়ে লয়ে এনেছি তব স্বর্ণবীণা,
তোমায় লয়ে ডুবিয়া গড়িব জ্যোতির্মান সুরের স্নান মূর্ছনা|


বৃন্ত কোমল নূপুর মালঞ্চের প্রথম সাক্ষী হে বালিকা,
সমুদ্র শিয়রে তৃণ পুঞ্জতলে পুলকিত তুমি মোর চঞ্চলিকা|
তুমি এসো অপ্সরী মোর মুছে দিয়ে মৃত চন্দ্রের ললাট টিকা,
বিলাসী সুবর্ণ পাত্রে সাজায়ে জোছনা চন্দনের বনবীথিকা|


মোর যত অবসাদ গ্লানি পূর্ন করিবে তোমার অঞ্চলখানি,
তোমার মদিরা সুরা অগ্নি জ্বালিবে হে অনন্তরঙ্গিণী|
ত্রিলোকের স্বপ্ন ভঙ্গে তুমি মোর নয়ন মুদিত করুনাময়ী,
অর্ধরাতে সংসার ভ্রমণে নিকট আলোকিত ভরসাময়ী|


যৌবন নিবেদিতা মোর তোমারে দেখিনু কুসুম পরাগে,
ফাগুন যামিনীতে মোরে বাঁধিনু সোহাগী আবেগে|
ব্যাকুল বাসনার মন্ত্রণায় উল্লাসিত ভ্রমর গুঞ্জরিয়া আসে তোমার চরণে,
বধুয়া আমিও হয়েছি পাগলপারা সঁপেছি আপনারে তোমার তরে মরণে|