এই শেষ বিকেলের রিক্ততা আমার অবসন্ন মনের ক্যনভাসে তোমার তৈলচিত্রের প্রতিকৃতি আঁকে
শুভ্র সত্য সভ্যতা উপড়ে ফেলে
ভাবায় এক উগ্র উন্মাদ চেতনা...
ধীরে ধীরে আঁকে আল্পনা, নিজ মনে
আমি অবলীলায় দেখি সবটুকু...
মেঘমেদুরের হৃদয় চিরে নীড়ে-
ফেরা কোনো কাকাতুয়া কেলিকুঞ্জে
বাসা বেধে যতটা সুখ পায়...
একফালি রোদ্দুর, ঠিক যেভাবে লেপ্টে থাকে খেয়াঘাটের শেষ সিঁড়িটায়,
ঠিক সে ভাবেই জেনো আছে
ওই প্রতিকৃতি আমার মস্তিষ্ক জুড়ে
ওহে স্নিগ্ধ অপরূপ মৃন্ময়ী মানবী...
তোমার মনে আছে?
এই এখানেই আমি তোমায় দেখেছিলাম প্রথমবার, জলমাখতে...
স্নিগ্ধ সুষমায় ভরা চোখ মেলে তুমি
ভ্রুকুচকে তাকিয়েছিলে আমার দিকে
উদ্ভট সেই সাজ বেলায় আমার কাব্যহারা উৎকট চেহারা, জানি...
তোমায় বিব্রত করেছিল প্রচুর ভাবে
তবু আমি নির্লজ্জের মতো বলবো...
তোমার ভেজা চুলের তীব্র মাদকতা, সেদিন মাদকাসক্ত করেছিলো আমাকে
ভেজা শরীরে তোমার সেই মিষ্টি লজ্জা,
আর সিঁড়ির ঘাটের অদ্ভুত সজ্জা
শেষ বিকেলের রক্তিম আভাকে
করেছিলো লজ্জা সিক্ত
এক নিমেষেই চারিদিক যেনো সেজেছিলো এক রক্তিম আভায়.....
আমি অপলোক দৃষ্টিতে চেয়েছিলাম তোমার ভাবুক চাহনি পানে
নির্লজ্জের মতো....
ইচ্ছে হচ্ছিলো, তীব্র সংকোচ উপেক্ষা করে ছুটে যায়, আবদ্ধ করি তোমায় নিজের বক্ষ মাঝে
উষ্ম চুমুতে সিক্ত করি তোমার ভেজা ঠোঁট, এঁকে দেয় আলপোনা নিজ হাতে, তোমার লাজুক মুখে
নির্লজ্জের মতো চাইছিলাম
তুমি লজ্জাবতী গুল্মরুপি কোনো মানবি হয়ে, অর্পন করো তোমার সবটুকু নিঃসংকোচে
হঠাৎজানি,
আত্মাটি তবু গর্জে ওঠে তীব্র ক্ষোভে
বলতে থাকে জানিয়ে দিবো তোর সত্ত্বাকে
আমি বলতে থাকি তাকে ভয়ার্ত ভাবে...
চুপ থাক,
আজ একটু নির্লজ্জ হবো-