ক্লান্ত দেহটা সবুজ গালিচায় পেতে দিয়েছি
অপলক দৃষ্টিতে তপ্ত রৌদ্রে উদাস ঘুঘুর মতো,
আমি চেয়ে আছি মেঘপুঞ্জের আসমানে
খাঁ খাঁ করা মরীচিকায় হা করে জল খোঁজে কাক পক্ষী ও সবুজ পতঙ্গ।


চোখ খুলে দেখি হঠাৎ শীতল হাওয়ায় দোল খায় ডালে ডালে গুচ্ছ কাঠগোলাপ
ঝুম বৃষ্টিতে স্বপ্ন দেখি গাঁয়ের মেঠো পথে দাঁড়িয়ে ধরে আছি কোন এক রমণীর হাত,
কালো মেঘের আড়ালে মুখ লুকিয়ে দেখি সূর্যের তেজোহীন রেখা
বর্ষণ সিক্ত ভেজা শরীরে একবার বলে উঠুক রমণী; আমাকে ছেড়ো নাকো একা।


বলি চেয়ে দেখো আজ; নিষ্ফলা মাঠ হাসছে নতুন যৌবনে
কচি বালকেরা মাতিয়েছে শূন্য উদ্যান কাচা মাটির ঘ্রাণে,
আহা! একি শীতল পরশ বর্ষা ধৌত দিনে বাংলার খালে বিলে
নগ্ন পায়ে চলো দু'পা এগোয় তোমার নূপুরের তালে তালে।


রমণী; তুমি ছেড়ে দাও তোমার অন্ধকার শিল্পের খোঁপা
জলসিক্ত চুলে আমি গুঁজে দেবো আমার কাঠগোলাপের থোকা,
উড়ে আসে ভিনদেশী পাখি আর লজ্জা ভেঙ্গেছে শাপলা শালুক
এই বাদল দিনে রমণী তোমার সবটুকু চাওয়া পাওয়া শুধুই আমার হোক।