এ কেমন জীবন মানুষের?
তিন চাকার কলে চলে
আঙ্গুলের নির্দেশে উড়ে চলে ব্যথাতুর ডানা।
ফাটা ছেঁড়া শার্টে-
দেখি এক পাখাওয়ালা ব্যর্থ যাত্রী হয়ে,
ভালোবাসার পাথর চেপে পাল্লা দেয় সময়ের সাথে
অপলক দৃষ্টি আর বিস্ময়কর ধবনিতে অন্তরে হুঁ হুঁ করে মানবতার আতুর নিবাস।
শাসনে শোষনে এখনো আমি পরে আছি অদেখা নির্বাসনে,
এই পৃথিবীর বুকে ।
আসল মানুষের সাক্ষীর অলসতায়,
মরে যায় বৃত্তহীন জীবন।
এ কেমন মানুষের টানাপরা তিন চাকার জীবন বলতো।


বিস্তৃত ভাসমান নদী আড়াল হয়ে যায় পলকে
পেছন ফিরে যাওয়া দস্যুদের উপহাসে,
কি ভীষণ জ্বালা শূন্য জঠরে- এই বঙ্গ দেশে।
প্যাডেলে প্যাডেলে চাকা চলে
পেছনে স্বপ্নঘোর হয়ে বসে থাকে বিস্ময়কর মহাজাতক,
তবুও জীবন চলে
জনতার জোসনার ঢেউয়ে,
তবুও জীবন বলে
আরো দ্রুত বাহন হলে বেশ ভাল হত।


তুমি কি দেখতে পাওনা হে মানুষ,
ঐ রিকশাওয়ালার চোখে- গায়ে- মুখে-
জমা পরে আছে হাতির ঝিল কিংবা বুড়িগঙ্গার ঘোলাটে পানি।
আমি তো সেদিনের ছোকরা, তাও দেখি দেহের মুমূর্ষুতা।
স্বাধীনতা, তুমি কি শুধুই বায়ান্ন, ঊনসত্তর একাত্তর
নাকি ঘামওয়ালা শরীরের বীজে জন্ম নেওয়া সমকালীন ইতিহাস।
বাঁচাও জীবন- মরন সত্য জানি।
এভাবে নয়- ভালোবাসার চাষাবাদে,
সে মানুষ যখন ন্যায্য ভাড়া পায়,
তখন ওর চোখে চোখ রেখে দেখো,
নীল আকাশে,
সোনালী রোদসী জ্বল জ্বল করছে।