হে রাজাধিরাজ, রাজ্যাধিপতি আল্লাহ!
খুশি হয়ে তুমি দিতে পারো,
যাকে-তাকে বিশাল কোন রাজত্ব।
রেগে গেলে তুমি কেড়ে নিতে পারো,
যার-তার থেকে যত বড় হোক রাজত্ব।
নেই ভেদাভেদ তোমার কাছে,
হোক সে ভিখারী কিংবা মুকুটধারী।


রাজি হলে তুমি দিতে পারো,
যাকে-তাকে অজস্র সম্মান।
নারাজ হলে তুমি কেড়ে নিতে পারো,
যার-তার সম্মান।
তোমার হাতে রয়েছে কল্যাণ, তুমিই ক্ষমতাবান।


দিন-রাত হয় আবর্তন তোমারই ইশারায়,
জীবন-মৃত্যু হোক নির্গত কিংবা বহির্গত,
ধন-দৌলত সবই তোমার দান।
তোমার হাতে রয়েছে কল্যাণ, তুমিই ক্ষমতাবান।


কবিতার মূল বিষয়বস্তু :
আল্লাহ তায়ালা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর মাধ্যমে সর্ব শেষ পবিত্র ঐশী গ্রন্থ আল-কুরআন নাযিল করেছেন। এই কিতাবের মধ্যে রয়েছে সকল বিষয়ের সমাধান ও মুক্তির পথ।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কাফির মুশরিকদের প্রশ্নের জবাব, উচ্চাকাঙ্খা এবং বিলাসিতা ও অন্যান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে আয়াত নাযিল করেছেন। তেমনি সুরা আল-ইমরান এ ২৬-২৭ নং আয়াতে আল্লাহ তার বিশেষ কিছু ক্ষমতার কথা উল্লেখ করেছেন। আমার কবিতাটিও সেই ০২টি আয়াতে সাথে মিল রেখে আল্লাহর ক্ষমতার কথা আলোচনা করা হয়েছে। নিচে সুরা আল-ইমরানের ২৬-২৭ নং আয়াতের অনুবাদ উল্লেখ করা হলোঃ


"বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।" (৩:২৬)


"তুমি রাতকে দিনে এবং দিনকে রাতে পরিবর্তন কর আর তুমিই মৃত হতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটাও। তুমি যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবনোপকরণ দান কর।" (৩:২৭)