কয়েকটি সকাল আমাদের ১০৯ বছরের  গল্প বলে গেল
কতগুলো সুখ দুঃখের   কাহিনী শোনালো এই বাগানের গাছটি
শুধু  বললো  "একটু বসো শোনাবো ইতিকথা '


হ্যাঁ  ১০৯বছর  পেরিয়ে
সারা দেশে এই  বাগানের ফুল
নতুন নতুন রঙে ফুটে উঠেছে
তোমরা জানতে পারো নি
এখন  যে বাগানময় ফুল
ফুটে আছে আনন্দের  সাথে সাথে।


আজ যাঁরা  আমার কাছে
বাগান  দর্শনে এসেছে
তাঁরা  কৃতশ্রমে ফুটিয়ে ছিলো  
নানান শাখায় শাখায়
কত গন্ধমাখা  ফুল।


এভাবেই  বপন  করি
প্রতিটি  নতুন  মুহূর্তে
অমানবিক  বুভুক্ষাকে তীব্রতর  করা
আমার সাহস নেই
আমি ভাবি সারাবাগান শুধু কুসুমিত  হবে।


খুঁজে  চলি
বৃষ্টির কণ্ঠস্বর  খুঁজি সূর্য কিরণে
নীল ঘুড়ি গুলো উড়ে  যায়
গজদন্ত  মেঘের  মিনারে
চলতি মানুষের  হাতের গন্ধ
আমার বাগানের ফুলে।


আমি দেখেছি
ওদের প্রসারিত  হাত
খুঁজে  চলে সত্যকে
মিনারের ওপরে
ক্রমশ  বীজগুলো  ফেটে ছড়িয়ে পড়ে
আশা  আকাঙ্ক্ষার  পাহাড়ে



দৃষ্টি শক্তি ক্ষীণ হয়
কঠোর  বাস্তব  আক্রমণ  করে
অন্তরের গভীরে  থাকা
আমাদের অভয়ারণ্যে
ছায়া পড়ে পবিত্র  সংস্থানে


আমাদের দরজায়  করাঘাত করে
আমরা বলি ওদের আসতে দাও
আমাদের জায়গা  ছেড়ে দাও
একটু আশায়
যদি ওরা  একমত  হয়।


এই সব কুসুমকুড়িগুলি
ফুটে ওঠে  সবার প্রার্থনায়
সমান সুগন্ধি ছড়ায় সদিচ্ছার
অশুভের  বিপ্রতীপে।


সূর্য  ওঠে
সমস্ত  অন্ধকার  ভেদ করে
আমার বাগান জুড়ে
পৃথিবীর  সমস্ত  আনন্দ
জ্বলে ওঠে অবসন্ন শরীরের অন্তঃস্থল  থেকে।


১০৯ বছর  পরে এই বাগানের  গল্প  শুনি
অনুভব  করি
আমরা সকলেই  এই বাগানের  ফুল
সমস্ত উপহার  তুলে দেবে
সূর্যমুখী পাতায় পাতায়
রঙিন  আবেশে সংগীত  মুখর


এই বাগানের আয়নায় ।