শরতের ধমনিতে রক্ত ঝরে পড়ে
রাত্রির শিশিরে শবের প্রতিধ্বনি অনেক গভীরে
পাক দিয়ে যায় মানুষ থেকে মানুষের শরীর
ভয়ঙ্কর বিষাদ অজস্র আত্মাকে ঢেলে দেয়


খোলা রাস্তায় একে অপরের শরীরী সন্দেহ
আগমনী সুরে বিষাদের জলসাঘর
বুভুক্ষু পরিযায়ীর কণ্ঠের আকর
সংসারী উপবাস অতিমারির রোষে
পাড়ায় পাড়ায়  অভাব অভিজ্ঞতা
তার থেকে মন খুলে পড়ে


ফুটপাত থেকে কান্নার সাইরেন
ভাঙাচোরা মনও কেঁপে কেঁপে ওঠে
আকাশ জুড়ে প্রকৃতি সেজেছে মায়ের আহ্বানে


এই নিষ্ঠুর অতিমারির অট্টহাসি
নৈঃশব্দ্যে মুছে দেবে অসুরদলনী মা


মনে ক্ষীণ আশায় বাঁচি
অর্ঘ্য, ফুলদানি অঞ্জলিতে
অতিমারির আবহে দুর্গোৎসবে।