গড়িয়ে চলেছে সময় ভাঙা অঙ্ক
কিছুটা মৃদু হাওয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে
কবে সেই রাখাল বালককথা
গরুদের সাথে নিবিড় ছায়ায় ভালোবাসা
সন্ধ্যের আগে কাদা কাদা পায়ে
গোয়াল ঘর, উঠান মায়ের আদর
সব কিছু সেই ছেঁড়া শীতলপাটির খসখসে ঠাণ্ডা বিছানায়
হারিয়ে যায় কৈশোর, যৌবন ও মা ।
২.
সকাল টানে সবুজ ঘাস বাঁধ
জটলা করে দু'হাতে বাঁধি ঘাস
প্রিয় সূর্য দুপুর অবধি খেলায় ভেঙে ভেঙে যায়
আমি কাদামাখা জলে স্নান করি
পায়ে পায়ে মাছেদের আবদার
পোষ্য হয়ে আমার চারপাশে
কতনা সুখ দুঃখের অধিকার নেয়।
৩.
পুকুরের পাড়ে পাড় ভাঙা তেঁতুলগাছটি
কোলে পিঠে অগণন ছেলে মেয়ে
পাড়ার ছেলেরা দুর্বল হাতে
নুন জারিয়ে শব্দ করে জিভ চাটে
অলস মা গাছটি শুয়ে
আরাম করে হাওয়ায় দোল খায়
কাঁচা পাকা টকটক খাওয়া
আমার মায়ের হাতের রান্নাঘর
সবেতে অতীত মাহীন মনখারাপ।
৪.
দড়ি লাগানো ঝলঝলে পরনে প্যান্ট
হাত বড়ো কষ্ট করে
দু'হাত কোমরজড়িয়ে ওঠা নামা
দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের হাসি
আমার শরীরে লজ্জা ঘিরে ধরে
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে
দু'হাত ধরে ছুটে চলি
আমার নিজের সম্ভ্রান্ত সম্মানের কাছে।
৫.
আমার হৃদয়ে যৌবন আসে
শরীরীরেখা দীর্ঘ হয় ক্রমশ
পুরোনো দর্শন সামনের দেওয়ালে
তৈরি নতুন প্রমিতি
আমার যৌবন অনুজ্ঞায় ক্লেশ ঘোরে
অতৃপ্তির পারদবিহীন দর্পণ।