এখানে নেই আমার হলদি নদীর  ধার
জলের কলকলে কলরব করে না পাখিরা
শুধু ওদের কিচমিচ ভেসে আসে কত কতদূর থেকে
স্পষ্ট শুনতে পাই, বড়ো বড়ো ইউক্যালিপটাসের পাতায় কাঁপুনি
দিচ্ছে ঝড়।
সন্ধ্যার বাসা, ডেকে উঠছে বাড়ি ফেরার ডাক
আর ফেরি নৌকার  হাঁকডাক
দূরে, নৌকাগুলোয় একটাএকটা করে জ্বলছে আলো
ঘোলা জল, লাল হতে হতে কালো হয়ে যায় কখন।


আজকাল বড্ড বেশি মনে পড়ে এসব।
যতবার তোমার নাম ধরে ডাকি ততবার
কত মুহূর্ত আমাদের বেঁচে থাকার
স্মৃতির স্ট্র্যান্ড জুড়ে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত হেঁটে চলা
কাঠের বেঞ্চগুলোয় এখনো কি লেগে আছে
অভিমানের দাগ?
কৃষ্ণচূড়া ঢেকে দিত চোখ,
আমার মুখ ভর্তি শুধু মেঘ
কতবার ভিজেছি বিকেল থেকে রাত
স্বাদ বদলে লেবুচা…
তারপর নিভে যায় আলো।


বড়বাঁধের মসজিদের  পাশ দিয়ে যে রাস্তায় বারবার হারিয়ে যেত ইজ্জত, হুবহু সেই রাস্তাটা ভোররাতে
স্পষ্ট হয়ে ওঠে কেমন!
তপনের রকমারি  ফার্স্টফুড
কানাইদার  স্কুল
ওল্টোদিকে আইক্রিমের সেই ছোট্ট দোকান…
হুবহু অবিকল।
কত কি তো বদলে যায়…
কত শোক, কত অনুভূতি
শুধু বদলায় না এই নদী
তোমার আমার ভেতরেও...
বইতে বইতে আমৃত্যু বেঁধে রাখবে এ  গ্রাম বাংলার নাড়িতে!