তিনযুগ হেঁটে  এলাম  গ্রামের পথে পথে
যেখানে সন্ধ্যা  হলে অন্ধকার নামে
মাটির তুলসীতলায় মাথা ঝুঁকে নতমুখে মা
কিছুক্ষণ উঠানে পেতে শীতলপাটি, লম্ফের আলো
সেই মা রান্নাঘরে ভেজা উনুনে ভাত ফোটায় গভীর রাতে
চারদিক থেকে ঘুমের ঘ্রাণ ভেসে এলেও
মায়ের বিষণ্ণতা  হাল্কা আলোয় ভাসে


রোজ রোজ হেঁটে  যায় অনন্ত সুখের বিশ্বাসে এইখানে - ওইখানে
তিনযুগ ধরে  হেঁটে যাই অথচ শিখিনি মায়ের থেকে সেই আদরভরা শিক্ষা
দীগন্ত শেষে সেই উঠানেও মা আর শীতলপাটি নেই
ক্রমে ক্রমে নিভে যাচ্ছে সেই লম্ফের মৃদু আলো
সারা আকাশ জুড়ে জ্বলে আছে রক্তলেখা


অথচ তিনযুগ  ধরে হেঁটে যাই মায়ের বিশ্বাসে
তবুও কিছুই হলো না শেখা!