১.
সেই তো ঘর,  সে-ই তো স্বামী-ননদিনী
আমায় অবিশ্বাস ঝড়ে ফেলে গেলে
আমি ভালোবেসে ডাকি। তবুও এলে না
অন্ধকার কথা বলে শুধু প্রেমিকের অন্তর্জাল।


২.
রোজ দিগন্তরেখায় অসীমের জিজ্ঞাসা
আমি সেই ভাবি আমার মহাচেতনা খুলে
যতবার তোমার ডাকশুনি, মুহূর্তে তুফান বুকে
কি করে জানাবো এই বেদনাবিধুর ব্যাকুলতা।


৩.
আমার শরীরী অংশে কত রাত অপেক্ষায়
ঝড়, বৃষ্টিতে গম্ভীরা সুখ! সে অনবদ্য
তবুও রাঙা আকাশ ছকে অসুখ সারাই
তোমার সেই সংগোপন শরীরে।


৪.                    
  
অগাধ প্রেমিকের অন্তর্জাল, পাশে গানের ঢেউ
চেনার আশ্রয়হীন নীরব পথে
আমিও শুয়ে সারারাত... ;সেই অপেক্ষায়
চিনে নিতেই সময়ের প্রার্থনাটুকু।


৫.
এই দ্বন্দ্ব প্রাক্কালে  বৃষ্টির রহস্য:শব্দ সহবাস
তোমার শরীরে নারীবাস
দেখেছি নিবিড়তা রাত জুড়ে
আমার এই বিরহে;জাগে কবিতার মায়া।


৬.
আমার ডান হাতে ওঠানামা করে;চেঁচামেচি শব্দ
তোমার সেই স্মৃতি কয়েকটি ভ্রমণযোগে
মনে পড়  আদর্শ প্রেমিকের রদবদল
সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম শব্দের গায়ে নিখুঁত অন্তর্জাল।


৭.
আমি আমার পাশে তোমার রাত
সেই সোহাগি গানের  কান্নায়
রাত ভোর ভিজে যায় শরীরী অঙ্গ...
প্রশ্নভাসে আকাশের দুয়ারেঃঅন্তর্জাল কাব্য


৮.
জয়দেবের মধুরকান্ত পদাবলীতে একাকী কোলাজ গাঁথি
অভিসারে বৈষ্ণব রসে ক্ষণিক  জারিত হই
প্রেমজলে কামনার পথ;সে তো এই সংসার
আমি কাব্যিক বেড়ার ঘরে:শব্দের সন্ধি পুজো


৯.


তোমার কঠোর বিধিনিষেধ
সহসা ভেসে যায় খড়কুটো জলে
আমি নিয়তির অপেক্ষায়
প্রেমিকের অন্তর্জাল অবয়বে...


১০.


তোমাকে নিয়ে শেষের কবিতা
নীরব নারীর ছায়ায় কত গল্প
যে গল্পের চোখে রূপক তামাসা
সেখানেও প্রেমিকের অন্তর্জাল সহবাস।