অন্ধকার  রাত্রি,চারদিকে  মৃত্যুর  গল্প -
সারা গ্রাম - শহর দিন -রাত শুনশান  করছে
শুধু  পাখিদের সময়
আকাশে  - বাতাসে কোলাহল  জুড়ে আনন্দের  সুর তোলে


হঠাৎ  একটা  শিশুকে নিয়ে
মা ছুটে চলেছে
চোখে শুধু  জল, বোবা মুখে
সন্ধ্যার ভিতর  ছেঁড়া ছেঁড়া  আলো তাও হারিয়ে যায়


তার মনে হয় শিশুটির ঘুমের  প্রয়োজন  ছিলো
প্রয়োজন  ছিলো  এই শান্তির


হাঁটতে   থাকে গ্রামের  অলিগলি পথ ধরে
অবাক  চোখে  সবাই  চেয়ে
জীবনের  শেষ আকাঙ্খা
পৃথিবীর  পথে ভয়াবহ  শিশুটির  ভবিষ্যতের উজ্জ্বলতা  ধরা পড়ে
আমাদের মতো শিশুটিও  দেশের  মানুষ


তার হৃদয়ে  নির্জন  শান্তির আঘ্রাণ  জাগিয়ে
মা ও রহস্যময়  অন্ধকারে হারিয়ে  যায়


শিশুটি, শিশুটির মা ও পৃথিবীর  দেশের  মানুষ


কত মা  এক নিঃশব্দে  সেতু বিছিয়ে রেখেছে
গভীর  নিঃস্তব্ধতার  মধ্যে  কত শিশু  সাদাকাপড়ে মোড়া
শুধু  শিশু  নয়,বয়স্কদের  মৃত্যুর  মিছিল  মহাশ্মশানেও


নীরবতা, আত্মত্যাগ ও সাহসে
বিচিত্র  এই মহামারীর  দিকে তাকিয়ে
আজকের  এই কোলাহলময়  পরিবেশ  ছেড়ে গৃহবন্দী ক্যাম্পের  অর্থ বুঝতে  পারি


সে শিশুটিও  সারাবিশ্বের নীরব  দিন রাত্রির  অর্থ বোঝে ছিল
বুঝতে  পারি এক-একবার
দৃষ্টি  পড়ে, কত চেনা মুখ হারিয়ে যায়
ঈশ্বরও নিঃস্তব্ধ, বিজ্ঞানও স্তব্ধ
চেয়ে দেখি আজ ঘাসের মতন,  শব্দহীন  সারাবিশ্ব  জুড়ে মানুষ  গৃহবন্দী


অথচ যে শিশুটি মায়ের কোলে  ছটপট ছটপট করে মারা গেল
সারা পরিবারও আত্মঘাতী  জ্বরেও


এই  পৃথিবীর  সুন্দর  গহন রূপ  ছেড়ে
শিশুটি মৃত্যুর  ভেতর  হারিয়ে গেলেও...
এই মারণ রোগে  মৃত্যুর কোনো  শেষ নেই আজ।