১.
সংকেত
স্ব-শরীরে তুলে তুলে নেয় বর্ণমালা
আকাশ যাপন তখন করছে শেষবেলা
শব্দের ঢেউ ঢেউয়ের ঠোঁটে ঠোঁট চুম্বন
কবিতার ঘরে হলুদ বিকেল সন্ধ্যায় পণ।
পাতাঝরা গাছে পাখিরা শব্দের ঘর বুনে
অক্ষর অক্ষর ঠোঁটে কত শব্দ আনে
ভিজে যাওয়া নদী ঢেউ তুলে করে প্রেমালাপ
সংকেত তার শব্দমুখর আয়োজনে আলাপ।
বর্ণের গায়ে সাদামাটা শব্দের ব্যবহার
ছোটো ছোটো কথা সংকেতে আসে বলার।
২.
ঠিক ততটা ভাবিনি
কবিতার গঠন থেকে দূরে সরে এসেছি
সবার ভালোলাগার কথা লুকিয়ে শুনেছি
অসম্ভব বিশ্বাসে সমালোচনায় বেঁচে আছি
কতটা স্তিমিত হয়ে শুয়ে শব্দ শব্দ খেলছি।
ঠিক যতটা খারাপ ততটা ভাবনায় আসেনি
অপূর্ব বিন্যাস জালে অক্ষর অক্ষর পোশাক
আমি স্পষ্ট শুনতে পাই পাখিরা ডাকেনি
কি জানি কতটা সময় আমার জন্য ঠিক।
শুধু কলম সৌখিনতা, আবোল -তাবোল বলে
মনের আঙ্গিকে ঠিক যতটা ভাবিনি, ততটাই চলে।
৩.
নদীসঙ্গম
রোজ রোজ নদীর মানচিত্র পাল্টায়
আপেক্ষিকতা নদীর নাচমুদ্রা
কখনও আসে ফণা তোলে ঢেউ চুম্বন নৌকায়
খেয়ালের বসে সংগোপনে প্রেমালিঙ্গণ ।
নরম শরীর স্থিতি নয় মনের গভীরে যাই
কত মুক্তো দেখার লোভে মুক্ত অরণ্যে ডুবি
তরী-ভরা মুক্ত তুলে তোমারই প্রেমাসক্ত হই
প্রবাহমানতা সারা নদী জুড়ে উত্তাপে উত্তাপে ।
মুগ্ধ প্রেম, নদীসঙ্গম সারা নদী জুড়ে
মাছেরা উলঙ্গ শরীরে নদীর কামনা ঘিরে
ব্যভিচারের শেষ অঙ্ক নদীর শরীরে
কতশত সঙ্গম দাগ ধুয়ে যায়, হয় মাধবী ।