দাদুর সত্তর আমার কুড়ি,
মদ্দে থেকে গেল আড়াই বুড়ি।
হুঁকোয় টান মারে দুজনে মিলে,
বড় দুখ্ পেঁয়েই দাদাই বলে।
ছুটু পারা ছেলেটো পড়া ছাড়ল,
বাসকোটো ভেঙ্গে পোনা পালাল।


নাইনে পড়ে পোনা বয়েস ষোল,
এর ভেতরে ছোঁড়া বখেই গেল।
বদসঙ্গে মিশে বিড়ি ধরল,
ক’দিনের মদ্দে গাঁজা ফুঁকল।
মাস্টার গোলাকে ব’ঙো দেখাল।
বাসকো ফাঁক ক’রে পোনা পালাল।


উয়োকে ফিরোইতে লোক ছুটল,
মাসের ভেতরেই খপর এল;
সে অখন রইছে মেদিনীপুরে,
রস শুকলে পরে আসবে ঘুরে।
মা-মাসি-ঠাম্মারা দুঃখে কাঁদল,
টাকা সোনা হাতিয়ে পোনা পালাল।


রসকে তো উওর জেঠার বেটা,
ছোঁড়া বটে আবার স্বভাবে পাঁটা।
পোনার লাগে ডেলি তিন বাণ্ডিল,
রসকে দোপরেই তাড়িতে সামিল।
আমার নাতি দুটো বখাটে হল,
মায়ের বেশ গেল, পোনা পালাল।


পোনার চ’লে যেত পকটটো ঝেড়ে,
রসকের জোগাড় ধান চাল মেরে।  
পোনা টাটকা কাঁচা ও ভ্যাদভেদে,
খ’ দ’ ঘরেই বটে বাইরে লাদে।
গাঁয়ে থেকে রসকে মুখ পোড়াল,
ভরি বিশেক নিয়ে পোনা পালাল।