বড় মিল দেখি দুই ঠাকুরের
একজন পৃথিবীর অন্য আকাশের।
আপাত পার্থক্য শুধু এইটুকু;
বাকী মিল- থাকে যতটুকু।


রবির প্রভায় উদ্ভাসিত সাহিত্য-আকাশ,
ইছা সত্ত্বেও এড়াবার নাই অবকাশ।
খনিগর্ভে অথবা অতলস্পর্শী ঘন অন্ধকারে,
তোমারও ফোটন কণা অবাধে সঞ্চারে।
সুউচ্চ পর্বত হতে মহীরুহ দল
অথবা বারিধি তলের পুরাতন জল-
সকলই তোমার প্রসাদলব্ধ, হে রবি,
তুমিইতো ভূমে অবতীর্ণ, হে মহাকবি!


যুগান্তরে সাহিত্য-বাসরে এসেছো বারবার,
বাল্মীকি, কালিদাস কিংবা রবি অবতার।
সূর্য্যের মতো ব্রাহ্মণ চন্ডালে ভেদও জানোনা,
প্রাপ্তিতে অযোগ্য কেউ একথা মানোনা।
মস্, ফার্ণ কিংবা শৈবালের দান,
গ্রহণে-বর্জনে সকলেই নেয় কিছু স্থান।


তবুও হে যুগন্ধর, হে মহাকবি,
কুয়াশায় ঢাকা তোমার অঙ্কিত ছবি।
সৌরতেজ হ্রাস সম ম্লান আজ তোমার চেতন,
ক্ষমতা লোভীর দল তোমার অঙ্গনেও ওড়াল কেতন।
তোমার ললিতবাণী আজ হাটুরের পণ্য
নির্লজ্জ হয়েও তারা শ্রেষ্ঠরূপে গণ্য।
তবুও নিশ্চিন্তে আছি আলোর আশায়,
আর্বিভূত হবে পুনঃ এই ভরসায়।