কেনেলে জল নাইকো ইবার বোরো হবে নাকো,
মুনিষের ডাক আসবেনা আর ঘরে বসে থাকো।
ধান নাইকো গোড়ার ভেতর চালও নাই হাঁড়ায়,
কেমন করে মরদ হঁয়ে বৌটোর ছামুতে দাঁড়ায়।
দাদনের কথা বলতে গেলাম, মোড়ল গেল রেগে,
লাগপেটেতে ছেলাম ওর কাছে, তবুয় এলাম ভেগে।


হেঁটে চললাম বাড়ীর বাগে, মনে আমার দুখ,
দিনে রেতে চ্যাষ্টা করলাম, টুগদুও নাই সুখ।
পথের পাশে আদার পকুর বাঁশ গাছেতে ভরা,
জল নাইকো শুকিয়েঁ যেছে, এমনি পড়ল খরা।
তো, বসে পড়লাম ছ্যাঁ দেখে তেঁতুল গাছের তলে,
ট্যাবটো পেড়ে শুঁয়ে পড়লাম, ঐ চিন্তাটো এল চলে।
তলিয়েঁ গেলাম ঘুমের ভেতর স্বপুন দেখলাম কত,
মারাংবুরু আমাকে আদেশ দিছে নিয়ে যা চাল যত।
লোব কিনা ভাবলাম ইকবার, দ্যাবতাতেই তো দিছে,
ওপসে আছি, বেচার করার চিন্তা করাটো মিছে।
ট্যাবে লেলাম, কোঁচরে লেলাম, কলসেতে লেলাম কিছু,
ন্যাংটো হতে বাকি থাকলাম গেলাম হঁয়ে নিচু।
আনন্দের চোটে ডগমগ হলাম, নেশাখোরের মত যেছি,
দারুর নেশাও টানছে নাকো,দাকার গন্ধই পেছি।


ঘরেতে ঢোকলাম, বৌটোকে ডাকলাম, দেখালাম কত্ত চাল,
গোড়াতে-হাঁড়াতে আমি রখছিগো, তু দিতে থাক জ্বাল।
বেটা-বিটিকে ডুব দিতে বল, গরম গরম খেঁয়ে লেবে;
ফ্যানটোকেও রাখিস মালসার ভেতর, বুলুং-শুলুং দিঁয়ে খাবে।
বৌ উঠে গেল, হাঁড়ি নিয়ে এল, আকাতে গুঁজল বা’ল,
খ’য়ে-বাসকোতে টানাকাঠি দিঁয়ে ধরিয়েঁ দেলাম জ্বাল।
আর হঁয়ে গ্যাল, মোটে দেরী নাই, বেরিয়েঁ আসবে ফেনা;
প্যাটে ভাত দিঁয়ে মেঝেতে গড়াব, গায়েতে জড়াব টেনা।
হঠাৎ শুনলাম, সরাৎ করে, কি যেন পড়ল পাশে,
দেখি শুখা-বেলের খ্যাংড়া একখানা, পড়ে আছে তেঁতা ঘাসে।