**ভৈরবী**


ভোরের আঙিনা ভরা নরম আলোয়--
উদোম কচিমন খেলে যেত নির্ভাবনায় ।
ছুটেছুটে--শ্যামল-মাঠ-বন প্রান্তর ,
খর রোদের কড়া দুপুর, তপ্ত বালুচর ;
বাঁধনহারা খেয়ালি মন গেছে যতদূর--
অধরা মায়ার ছায়াঞ্চল উড়েছে ততদূর ।
মাগো তোমার মিষ্টি কথার বশে--
চাঁদের বুড়ি আসত নেমে আমার ঘুমের দেশে ।
সকল জ্বালা কেমন করে চুকে যেত সোনার পরশে ?
দুখের মেঘ কোন আড়ালে? চিত্ত সেথা সদা হরষে ।
কখনো একা হলে হাজার সাথি হয়ে তুমি তখন ,
কেমন করে আনতে তুমি আমার ঘরে নিখিল ভুবন ?
              
                    **নিঃসঙ্গ দুপুর**


ছায়াহীন নিঃসঙ্গ দুপুর আমার -এ নগরের ভিড়ে;
শুধুই ছন্দপতন বার বার -এ প্রান্তিক সংসার নীড়ে ।
অর্বাচীন আমি , শিথিল আমার পায়ের তলা ;
আতঙ্কে , উত্তেজনায় ভীরু; একাকী পথ চলা ।
জীবন বলয়ের কোন্ বাঁকে অলব্ধ প্রেম আমার ?
বৃথা ঘুরি মরু-প্রান্তর-দূরদিগন্ত ;ক্ষত-বিক্ষত পিঞ্জর ।
খসে পড়ে থরেথরে সাজানো স্বপ্ন-বাসর নিঃসঙ্গ দুপুর শেষে -
মহাকালের নিঃশব্দ পদ সঞ্চারন,আমার অলক্ষ্যে,হেসে হেসে ।
মিটিমিটি জোনাক-তারা আর ভোরের রাঙা হাসি ।
কোন্ মুলুকের কোন্ সে বনে হল বনবাসী ?


                   **বিবর্ণ গোধূলি**


একরাশ এলোমেলো ধূসর স্মৃতি,অস্তাচলে জীবন বিকেল-
নিরালা ঝুল-বারান্দায় অতীত রোমন্থনে নিঃসৃত গরল ;
কপোল ভেজায় , শ্বাস  রুদ্ধ করে  হৃদয়  নিংড়ায়  ;
অলয় ঐন্দ্রজালিক মায়ায় তন্দ্রা হাতে গোধূলি দাঁড়ায় ।
সংহার কোলাজি নয়নে ঈষৎ হেসে বৈতরনী কান্ডারি আসে -
উদ্ধৃত করে -" এসো পথিক পৃথিবীকে রেখে তার বনবাসে "।