কবিতা সেদিন রেগে গিয়ে বলে, চুপ থাক্ শয়তান;
বল্ না কী লাভ শব্দে বাজিয়ে নৈতিকতার গান?
নাই বাজে যদি বিবেকের পায়ে নীতির নূপুরধ্বনি;
বল্ না কী লাভ বইয়ে সাজিয়ে ছন্দখচিত খনি?


হুঙ্কার ছেড়ে বললাম আমি, বিদ্রোহী মন তাই;
তলোয়ার ছেড়ে শব্দের তালে প্রতিবাদ করে যাই।
দ্রোহানলে ভরা কত যে কবিতা ছেপেছে পত্রিকায়,
পাঠকতালিকা দেখেই আমার তনু-মন ভরে যায়।


লাফ মেরে উঠে টুঁটি ধরে বলে, শুন্ রে হারামখোর,
পাঠকের লোভে ছন্দ বুনিস হয়ে অভিধান চোর।
শব্দ সাজাস সমসাময়িক ঘটনার যের ধরে;
চুপচাপ ফের মানবতা যবে দানবের চাপে মরে।


মিনমিন করে বলছি তখন, বড় শখ কবি হব;
মানবতা আমি মানি বা না-মানি মানবিক কথা ক’বো।
তাই লিখে যাই গান-কবিতায় মানবতা-নীতিবোধ;
জিহাদের যত প্রয়োজন সব কবিতায় করি শোধ।


বলল কবিতা, বড় কবি সেজে ফারদার ভাব নিলে;
পরাধীন হয়ে মরবি তখন, স্বাধীনতা খাবে চিলে।
জিহাদি তাগিদ ভুলে গিয়ে যারা কবিতায় ওঠে মেতে;
জিল্লতি আর অপমান আসে তাদের চিবিয়ে খেতে।