আকাশের বুকে রূপোলী চাঁদের আগমন যবে ঘটে;
কান্নার স্রোত বয় শ্রমিকের অশ্রু নদীর তটে।
ছোট্ট খুকির অঙ্গে জড়ানো শতেক তালির জামা;
ঈদের আমেজ না পেয়ে হৃদয় হয়েছে কঠিন তামা।


‘লালজামা আর আলতা-নূপুর’ আবদার করে খুকি;
চেষ্টা করেছে শ্রমিক বাবাটা নিয়ে জীবনের ঝুঁকি।
হয় নি সফল করতে পূরণ ছোট্ট খুকির আশা;
কাঁদে আর ভাবে পৃথিবীর বুকে নিয়তি সর্বনাশা।


কত শত ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে বেঁধেছিল কুঁড়েঘর;
সেথায় এখন বসত গেড়েছে ধূধূময় বালুচর।
ভেঙেছে স্বপন নিভেছে আবেগ কষ্টের কষাঘাতে;
মলম দেয়ার নেই তো সুযোগ মিনতির দেয়া ঘা-তে।


শরীরের ঘাম আতর বানিয়ে ছোটে ঈদগাহপানে;
দূরদূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে চৌধুরী আর খানে।
শ্রমিকের সাথে পড়লে নামাজ সম্মান নাকি যাবে;
সাম্যতা আর সম্মানবোধ বিরোধী এমন ভাবে।


রোদনের জলে ভাসছে দুনিয়া হয়েছে সমুদ্দুর;
চারিদিকে কালো মেঘের চাদরে হারালো মনের নূর।
শ্রমিকেরা আজও বঞ্চিত দেখো ঈদের আবেশ থেকে;
যাচ্ছে শ্রমিক চাঁদের অঙ্গে দু্ঃখের ছাপ এঁকে।