তোমাকে লেখা শেষ চিরকুট টা
পাঁজর ভেঙ্গে পেয়েছিলাম,
হৃৎপিণ্ডের বাম অলিন্দে।
সেখানে নীল কালিতে লেখা
তোমার ঠিকানা - বড্ড বেশি জ্বলজ্বলে,
ঠিক যেন নক্ষত্র রাত্রিতে,
জেগে থাকা কোন সুখ তারা -
অপেক্ষারত অভিপ্রায়ে চির জাগ্রত।
পাঁজর দেরীতে ভাঙ্গলাম বলে
তোমার ভীষণ রাগ হলো...
তীক্ষ্ণ চোখের দৃষ্টিপাত
অনন্ত অনলে পোড়ালো আমায়।
তার কিছু পরেই -
পূর্নিমার আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে
সদ্য উদ্ভাসিত রূপালী চাঁদের মতো
হাসি ছড়িয়ে দিলে সমস্ত অবয়ব জুড়ে।
তুমি বললে - " চলো,
ঐ সমুদ্রের শেষে, ঐ দ্বীপে,
আমরা সেখানে ঐ পাখিদের কাছে যাই"
বেঁচে থাকা সব শেষ ইচ্ছেটা
দুজনে ভাগাভাগি করে বুকে বাঁধি।
তারপর চল যাই সেই দ্বীপের উদ্দেশ্যে।
প্রথমে শাখা নদী, এরপর বড় নদী,
পার হয়ে আমরা গেলাম সমুদ্রে।
গভীর, শান্ত অথচ হিংস্র।
সেখানে আমি ডুবে যাবো তলদেশে।
তুমি বলবে - "অনেক হয়েছে, এবার চল"।
আমি যাবো না।
তুমি ফিরে যাবে পুরোনো মানুষের দেশে।
তুমি বেঁচে গেলে।
কিম্তু আবার যদি কোনদিন তোমার ইচ্ছে হয়!
আবার যদি তোমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সেই শাখা নদী, বড় নদী পার করে সমুদ্রে,
আমাদের শেষ দৃশ্যে....
তুমি দেখবে কিছু পরজীবি
এখনো বেঁচে আছে দীর্ঘশ্বাসে তলদেশে।
সেগুলো তোমাকে খাবে না,
কামড় দিবে না,
শুধু অপলক চেয়ে থাকবে
তোমার দিকে এক দৃষ্টিতে।
তুমি বুঝবে, জলের দেশে
চোখের জল কতটা মূল্যহীন।