তাকিয়ে কোনো এক দূরের পানে
হাতছানি দিচ্ছে কেহ তাহার প্রাণে
ক্লান্ত শহর আবছায়া সপ্নীল নীলে
মাতিয়া আছে তাহার আঁখির জলে।


কেহ কী কাঁদিছে তাহার তরে?
জিজ্ঞাসা তাহার, অন্তমীল অন্তরে.....!


চারদিক বিষন্নে ভরা তাহার-
কেহই চাহেনা সুখের পাহাড়!
সাদা-কালোয় ভরা আলো আধার
দৃষ্টিগোচর হয় কাহার?


গহীন দৃষ্টিকোনে চোখের পলক
নিভিয়া আসিছে আলোর ঝলক
কেহ কী আসেনি?
কেহই কী আসেনি?


দুর্বল ভঙ্গুর অন্তরের কোণে
জমিছে মেঘের ক্লেশ
দূর ঝোপ ঝাড়ে ঐ বনে
কাহারো কী নেই রেশ?


স্পষ্টরূপে দৃশ্যমান সে-
তবুও কাহারো আসেনা চোখে,
এ প্রতীক্ষা বড়ই বেমানান;
এখনো বিস্ময় তাহার অন্দরে!


সত্যই কী কেহ নাই দূরে?
সত্যই কী কেহ আসে নাই ছুটে?
কেহ কী ভীরে না চারিপাশে!
এ কেমন ক্লেশ তবে অন্তরে....


রঙহীন বিদীর্ণ ফ্যাকাশে আকাশ
পোড়া গন্ধে ভরা শুষ্ক বাতাস
ছায়াগুলো কেমন নিরাশ!
এ তবে কিসের আভাস?


সত্যই কী ইহা মিথ্যা কল্পনা
সত্যই কী কেহ আর আসিবেনা?
ইহাই কী চরম সত্যতা?
দূরে তাকাইছে সে
সত্যই, যেন সবই আবছা আবছা.........
আসেনা কেহ।
তবে তাহার সনে সর্বক্ষণে,
আছে তাহার স্রষ্টা।


এই ক্লান্তি লহমায়, সে হাসিছে মৃদু
ভাবিয়া ইহা-
হোক না সব আবছা আবছা..................!