ভেবেছিলাম ছায়াজীবী হয়ে আগত সব বসন্ত কেটে যাব
তবে গায়ে সবুজ রঙের কলংক লেপ্টে আছে শুধু
আমার মাঝের স্রোত আমাকে পরজীবি বলে ধিক্কার জানায়
তোমার নক্ষত্রে পুড়ে যাব বলে ; সম্ভাব্য নরকের প্রস্তুতি নিচ্ছি


এদিকে আমার শরীর থেকে অম্লান জড়তা ফুটে ওঠে
ক্লান্তি ঠেকে আমার মনে, যতবার পানিতে নিমজ্জিত হই
আমায় বাড়ির পাশের নদীর কচুরিপানা হিসেবে চেনো
যে কচুরির ভেতর থেকে সাপ ফুঁসলে আসে, সময়ের মতো


ছোটবেলায় একবার পানিতে ডুবে ডাঙা চিনেছি
পানির ভেতরের রোদ দেখে তোমায় চিনেছি – একদম চোখধাঁধানো
ঐ নীল আলো ভোরবেলায় যখন আমায় স্পর্শ করে
তোমার মুখের মাঝে আমার মুখ দেখি, তোমার কপালে আমার চোখ দেখি


অতীতে আমি বোধহয় তিন-চাকার সাইকেল ছিলাম
টেবিলের নিচ আমার স্বর্গ ছিলো, জলসাঘর আমার স্বপ্ন ও নিরবিচ্ছিন্ন সাধনা ;
খাট থেকে ওয়ারড্রবে দড়ি বেঁধে যতবার ঝুলেছি তাতে
পুরোনো ছেঁড়া-ফাটা কিছু কাগজের মতে, সম্ভাবনার মৃত্যু হয়েছে অনুকরণ ও মনোযোগ চাওয়ার আঘাতে