এবং এটা আমার প্রিয় আত্নহুতির গান
বর্ণ না থাকলে বর্ণনা করা যায়? ঘুরেফিরে প্রশ্ন আসে মুক্তি দিচ্ছি কবে!
তর্কের সুবিধার্থে ধরে নেই, মুক্তি আছে।
মুক্ত হলে, আমার ভাবনা, কান্না বিস্তৃত খোলস থাকবে কই?
যখন স্মৃতি গুলো জাবর কাটবো হুটহাট, শুনে অভিভূত হলে বেশ হতো
কী আর করার! পোড়া কপাল, মন্দলোকের মন্দ ভাগ্য
তাদের অভিশাপ লেগে গেছে আষ্টেপৃষ্টে, দুঃখিত চূর্ণবিচূর্ণ স্মরণি
যখন তোমায় মনে পড়বে, আমায় মনে পড়বে না
বালু ভিজিয়ে দেবে এই সমুদ্রতট, তাসের ঘর গড়বে না
এত মানুষের ভীড়, প্রত্যেকে একটা একটা করে ইট সাথে নিয়ে যে প্রাচীর গড়ছে তুলে
রুপক দিয়ে ঢাকবো আর কতো, সন্ধ্যে নামে গোধূলি তে
হে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সমাজ, এ যাতনার পাথয় কী?
কট্টর ভাষায় কিছু গালাগালি, আর একসাথে বেঁচে থাকার স্বপ্নের সমাধি
মেনে নাও, আপোষ করো, এত নির্ভরশীল হওয়ার খাজনা দাও
অখাদ্যের মাধ্যমে পুরো দুনিয়াকে জানাও, আমায় বরং বাজনা দাও
শৈশব, কৈশোর আর যৌবনের যে নদী ভাঙন দেখেছি
নদী তো ভাঙে না, ভাঙে ভঙুর মাটি আর অমানুষদের মন
ক্রুর নিষ্ঠুর প্রিয়তমা, এত চঞ্চল কেন জিজ্ঞেস করে স্বাধীনতা হরণের যে মস্ত বড় অপরাধ করেছি
তার পাপ যেন আমাকে চোরাবালিতে ডুবিয়ে রাখে
অভিমানী চালচুলোহীন মন, সহ্য না করে একটু নাহয় মরো!