তারা সরে যায়–প্রস্থান ঘটে নীরবতার সাথে;অনাড়ম্বর জীবন
আবেশ ডুবে গুহ্য ফাঁকফোকরে, মিশে যায় অমানিশায়  — বিসর্জনের মতো
ভাবনার ডালপালা এলোমেলো কেশ, আকাশের বুকে জোনাকির মতো জ্বলজ্বল
বাহিরের পৃথিবী আমন্ত্রণ জানায়, আড়ালে ডাকে কর্দমাক্ত ভয়
হৃদয় ঠিকরে ওঠে, পরাজয়ের আভা চারিদিক । পথ হারিয়ে মহাশূন্যতায়
ধাঙ্গড়বাচক ছিন্নবিচ্ছিন্ন ছায়া রোদের সংস্পর্শে আসে
অরুণ রেগে যায়, পদে পদে ফুটে ওঠে তার গ্লানি
বারবার শুধু ডেকে যায়, শব্দগুলো ভাবায় — চিন্তার মৃত্যু কই?
ভালো থাকার কথা পূর্বেই অনুমেয়, অনিচ্ছা স্বত্তেও
ছায়ার গল্প কি আলোর সময় অপচয় করে?
কয়েক সহস্র পেরিয়ে হয়তোবা মাটির গভীরে ফিরে যাব
চিত্ত যে অস্থিতিশীল এই ভয়াবহ অমাবস্যায়, সন্ধ্যা হবে প্রাতে
অন্ধকার গৃহচারী আহবান শোনে ঐশ্বরিক দৈত্যের
সজ্ঞানে পা বাড়িয়ে, অবচেতন জাগিয়ে — মেঘে সাতার কাঁটে
তবুও বোঝেনা সে, প্রণয় কত গভীর, কত নিচ অব্দি এর শিকর পৌছিয়েছে
দেখা হোক তবু আবার ; নক্ষত্রের রাত বা কোন অজানা দূর্বিপাকে