ধনীর দুলাল নইরে মোরা রাজকুমার ও নই
গরীব ঘরের কৃষক মোরা গাঁও গ্রামে রই।
মোরা বিহান বেলা কাস্তে লইয়া পাথার পানে ছুটি,
গামছা মাথায় দল বেধে ভাই সোনার ফসল কাটি।
ভাওয়াইয়া গান আর গল্প কথায় করি মাঠে কাজ,
হঠাৎ করে বৃষ্টি এসে ভিজে ধানের গাছ।
কাজ হলো না সমাপ্ত যে ডুবে গেলো বেলা,
সমস্ত ভুঁই জুড়ে রে ভাই পাকা ধানের মেলা।
এযে ধান নয় ভাই ধান নয় আমার ছেলে মেয়ে,
মাঠের মাঝে নেমেছে ভাই আকাশ বেয়ে বেয়ে।
রৌদ্র তাপে শরীর ঘামে বাঁধি ধানের আটি,
মুচকি হেঁসে বউ এনে দেয় পান্তা ভাতের বাটি।
বৌ মাঠ ছেড়ে যায় আঁড় চোখে চায় মাথায় আচঁল তুলে,
খুশিতে বুক ভোরে উঠে খাটুনি যাই ভুলে।
এক শাড়িতে বউ যে আমার সাজে কত বাহারি,
ফেরে না-যে নয়নদুটি চাহি ফিরি ফিরি।
ধানের হাসি বউয়ের হাসি দুই হাসিতেই ভরে বুক,
আমরা কৃষক অনেক সুখী নেইকো মোদের কোন দুখ।।