এখন মৃত্যুর পরোয়ানা ঘরে-ঘরে,
আমিও আছি তার মধ্যেই।
ধরুন, আমার অপরাধ আছে,
আমি শাস্তি মাথা পেতে নেবো;
কিন্তু, আমার মাছুম বাচ্চাটির কী এমন অপরাধ?
পাশের বাড়ির করিম চাচা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন,
রোজা ও যাকাত, প্রতিবেশির হক কোনটি বাদ নেই।
জয়হরি কাকা মন্দিরে পড়ে থাকেন,
কোনদিন পরনিন্দা, পরচর্চা করেননি।
গুলনাহার বেগম,
যাকে আমরা নাহার চাচি বলেই ডাকি,
পুরো পাঁচ গ্রামে তার নাম,
এমন পরহেজগার মহিলা পাওয়াটাই মুশকিল।
এ রকম আরও কতজন,
যেমন, বলতে পারি- উত্তর পাড়ার ললিতা পিসির কথা,
মসজিদের পাশের বাড়ির মৌলানা আব্দুর শুক্কুর,
দক্ষিণ পাড়ার মানবেন্দ্র রায়।
আজ সবার বিরোদ্ধে মৃত্যু-পরোয়ানা।
হে বন্ধুগণ, এ কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
করিম চাচার যদি মৃত্যু হয়,
তাঁকে বিশেষ প্যাকেটে বন্দি করা হবে,
আমরা কেউ যেতে পারবো না,
তাঁকে ছুঁতেও পারবো না;
এমনকি তাঁর সন্তান-আত্মীয়-পরিজন।
তাঁর জন্য নামাজ-কালাম কিছুই হবে না।
জয়হরি কাকা যদি চলে যায়,
হয়তো বিশেষ কায়দায় তাকে শ্মশানস্থ করা হবে;
না, হবে না মন্ত্রপাঠ, মানা হবে না শুদ্ধ আচারিক বিধান।
আমরা কি তাহলে বাঁচতে পারবো না?
আমরা কি তাঁদের বাঁচাতে পারবো না?
কোথায় ধর্মাবতার? কেন এই শাস্তি?
কেন এত নির্মম নিষ্ঠুর তোমার পরীক্ষা?
------------------------------------
রচনা: ১৯/০৩/২০২০ ইং, চট্টগ্রাম।