১। "বাংলাদেশের কবিতা এবং পশ্চিমবঙ্গের কবিতার মধ্যে গুণগত পার্থক্য আছে । বাংলাদেশের কবিরা যা ভাবেন তাই লেখেন ।  তাই তাঁদের কবিতা স্পষ্ট এবং সহজেই সাধারণ পাঠকের কাছে ধরা দেয় । পশ্চিমবঙ্গের কবিরা যা ভাবেন তা লেখেন না, লিখতে চান ভাবনার উৎস । তাই তাঁদের কবিতা রহস্যময়, জটিল এবং ঋদ্ধ পাঠকের মস্তিষ্ক ছুঁয়ে হৃদয়ে পৌঁছাতে চায় । এই দুই ধরণের কবিতাই বাংলা সাহিত্যের সম্পদ । তবে মহাকালের বিচার শেষ কথা বলবে ।"


২। "কবির কাজ সত্যকথা বলা । তাই কবিতা পবিত্র, শ্বেতশুভ্র । এই সময়ের কবিদের গায়ে কত রং । রঙিন কবিদের দেখতে সুন্দর লাগলেও অপবিত্র হয়ে যাচ্ছে কবিতা । সত্য হারিয়ে কবিতায় স্তাবকতা প্রকাশ পাচ্ছে । কবি তুমি শ্বেতশুভ্র হয়ে ওঠো । আমাদের কথা বল । আমরা এখনও অন্ধ হয়ে যাইনি ।"


৩। "আমরা সবাই কবি, কেউ কাগজে কবিতা লেখেন, কেউ মনে মনে... মানুষের সেই কবিমনকে জাগিয়ে তুলতে রবীন্দ্রনাথ যেমন অমলকে সৃষ্টি করলেন, তেমনি বিভূতিভূষণের অপু। অপু সেই নিষ্পাপ বালক যার চোখ দিয়ে বিভূতিভূষণ আমাদের কাছে তুলে ধরলেন অসহায় মানুষ এবং প্রকৃতিকে । আমাদের অজ্ঞতার অন্ধকারে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা সেই মানুষদের সাথে প্রকৃতির অন্তরঙ্গতার চিরন্তন আখ্যান সারাজীবন ধরে কবি (আমি বিভূতিভূষণকে ১০০% জীবন্ত কবি মনে করি) লিখে গেছেন। এই বোধ কবিকে প্রান্তিক করে দিলেও এখনও তার সৃষ্টি নাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রে থাকা সর্বপ্রাপ্তির যন্ত্রণায় দিশাহারা অদ্ভুত ডলার শ্রেনিকে, যারা কোনদিন জানতেও পারেনি নদী কথা বলে... আকাশ হাসে... বৃক্ষ ভালোবাসে ... এই অদ্ভুত অসহায় মানুষদের মধ্যে বিভূতিভূষণ চর্চা খুব জরুরী, যা দেশ এবং দশের মঙ্গল করবে ।"


৪। "সংস্কার অবৈজ্ঞানিক হলেও তা কবিতার থেকে অনেক শক্তিশালী । যা সাধারণ মানুষের মাথা নত করায়, অথচ কবিতা মানুষকে মাথা তুলে এগিয়ে চলার প্রেরণা যোগায় । এর গভীর অর্থ খুব কম মানুষ জানেন ।"


৫। "কবিতা কী শুধুই কবির প্রলাপ, বিলাপ, যন্ত্রণা, প্রতিবাদ, ভালোবাসা ! এর বাইরে কী কবিতার থেকে কিছুই পাওয়া যায় না? আমরা যে ইতিহাস পড়ি তা অর্ধসত্য । উল্লেখযোগ্যতার বাইরে ইতিহাস পঙ্গু । ইতিহাস লিখতে চায় না সাধারণ মানুষের বর্ণহীন অবদানের কাহিনী । এইখানেই কবিতার অবদান । কবিতা অতি সাধারণ মানুষদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ছন্দ প্রান্তিক থেকে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয় । তাই কবিতাকে বাদ দিয়ে ইতিহাস অসম্পূর্ণ । কবিতাকে বাদ দিয়ে বিজ্ঞানও সম্পূর্ণ নয় । বহুমাত্রিক কবিতার অন্তরে বিজ্ঞানীরা সন্ধান করছেন বিজ্ঞানের অজানা রহস্য । মনোবিজ্ঞানের অনেক থেরাপি কবিতার ছন্দকে আপন করে নিয়েছে । আর কবিতাকে ছাড়া সংগীত কী মনকে দোলা দিতে পারে ! আজও পৃথিবীর আলোকিত অন্ধকারে কবিরা নিষ্ঠার সাথে লিখে চলেছেন মানব সভ্যতার প্রকৃত ইতিহাস । যা প্রেমময় পূর্ণসত্য !"


৬। "দার্শনিকের চেতনায় দর্শন থাকলেও, কবিত্ব থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে । কিন্তু কবির চেতনায় কবিত্ব, দর্শন, বিজ্ঞান থাকে । তাই কবিতা দর্শন এবং বিজ্ঞানের থেকেও অনেক উপরতলার অনুভূত সত্য, যা চিরন্তন, সনাতন ।"


৭। "ভালোবাসার কবিতা বলে কিছু হয় না, প্রতিটি কবিতার অন্তরে লুকিয়ে থাকে কবির অকৃত্রিম ভালোবাসা । কবিতার পাঠক-পাঠিকা সেই ভালোবাসাকে কোনদিন ভুলতে চায় না ।"


৮। "হীরার খনি থেকে পাঁচ-দশটা হীরা চুরি করে খনির মালিককে ভিখারি বানানো যায় না । তেমনি একজন সৃজনশীল মানুষের মৌলিক ভাবনা চুরি করে কিছুদিন সাধারণ মানুষদের ধোঁকা দিতে পারলেও, গবেষকরা প্রকৃত সত্য ঠিক বুঝে যান । সৃষ্টি থেকে স্রষ্টাকে কোনদিন আলাদা করা যায় না ,বহুবিধ লক্ষণ প্রকাশ পায় ।বরং ইতিহাস এই চৌর্যবৃত্তিকে কোনদিন ক্ষমা করে না ।"


৯। "মৃত্যুর মিছিলে লিখি
জীবনের সংবাদ
এখনও কবিতা আছে
আছে প্রতিবাদ। "


১০। "মৌলিক ভাবনা বেশিরভাগ মানুষ গ্রহণ করতে পারে না বা চায় না । শিশুবেলা থেকে অর্জিত বিচারধারা তাদের চেতনায় ছড়িয়ে থাকে । কখনও দুর্গের প্রাচীরের মতো জীবনবোধকে অবরুদ্ধ করে রাখে । এটাই স্বাভাবিক । এর বাইরে কেউ কেউ প্রকৃতির অপূর্ব লীলায় মুক্তমনের অধিকারী হন । এরাই এগিয়ে আসেন এবং মৌলিক বিচারধারাকে স্বাগত জানায় । নতুন বিচারধারা সংখ্যালঘুদের হাত ধরে এগিয়ে যেতে থাকে সংখ্যাগরিষ্ঠদের অন্তরে ।"


১১। "মনের মতো ভাবনা অনেক সময় উৎকৃষ্ট ভাবনা নয় । যে ভাবনা মনকে উৎকৃষ্ট করে তোলে, আরও ভাবতে বাধ্য করে । সেই ভাবনাকে উৎকৃষ্ট ভাবনা  বলে ।"


১২। "প্রচুর গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ পড়ার শেষে কিছু লেখার ক্ষমতা নাও আসতে পারে I কিন্তু এক মাস মন দিয়ে কবিতা পড়লে কলমে এসে যাবে কবিতা ।  কবিতার এমন অদ্ভুত শক্তি, যা মস্তিষ্ক এবং হৃদয়ে দ্রুত জায়গা করে নেয় । সাধারণ মানুষও লিখতে পারেন মনের কথা । আত্মপ্রকাশে কবিতার মতো আশ্চর্য মাধ্যমের কোন তুলনা নেই ।"


১৩। "কবিচরিত্র একটি মুদ্রার মতো, যার এক পিঠে প্রেম এবং অন্যপিঠে থাকে বিদ্রোহ । প্রকৃত পাঠক বিদ্রোহের মধ্যেও কবিহৃদয়ের গভীর প্রেম খুঁজে পান ।"
১৪। “বিশুদ্ধ মস্তিষ্ক এবং আহত হৃদয়ের মানুষদের জন্য ভালোবাসার কবিতা ।”


১৫। "কবিতা না লিখে যিনি বাঁচতে পারবেন না, তিনি কবি । সংগীত, অভিনয়, শিল্পকলার চর্চা না করে যিনি বাঁচতে পারবেন না, তিনি কলাকার, শিল্পী । শিক্ষাদান না করে যিনি বাঁচতে পারবেন না, তিনি শিক্ষক । ভালো না বেসে যিনি বাঁচতে পারবেন না, তিনি প্রেমিক । বাদবাকি সৌখিন মজদুর ।"


১৬। "যে মুহূর্তে কবিতার 'আমি', পাঠকের 'আমি' হয়ে উঠবে । সেই শুভক্ষণে কবিতার আত্মপ্রকাশ ঘটে ।"


১৭। “কবিকে দাবিয়ে রাখতে পার । কিন্তু কবিতাকে দাবিয়ে রাখার শক্তি মানুষতো দূরের কথা, ঈশ্বরের নেই । আজ অথবা হাজার বছর পরেও কবিতা ঠিক প্রস্ফুটিত হবে । “প্রকৃত কবিতা অনন্ত শক্তির অধিকারী । কবিতা কবির অমূল্য সৃষ্টি । যার তুলনা এই জগতে নেই ।”

১৮। "বস্ত্রহীন মানুষ উলঙ্গ । সাহিত্যহীন মানুষও উলঙ্গ । দৃষ্টি দিলে দেখা যায় ।"


১৯। "কবিতার মধ্যে লুকিয়ে থাকে আরও একটি কবিতা । তার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে সময়ের মহাকাব্য ।"


২০।"কবিতা লেখার পর কবিরা ভুলেই যান তার প্রিয়তমাকে । এরপর কবির নাম বুকে নিয়ে কবিতা ভেসে ভেসে পৌঁছে যায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে, এক যুগ থেকে অন্য যুগে, একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের হৃদয়ে । প্রত্যেক কবি, কবিতার এই চিরন্তন ভালোবাসার কাছে প্রবলভাবে ঋণী ।"


২১। "একজন প্রকৃত কবি অন্য কবিদের হৃদয়ের যন্ত্রণা অনুভব করতে পারেন । কবিতা-লেখকরা শুধুই চিৎকার করে ।”

২২।  "কবি ঈশ্বরের আশীর্বাদে জন্মান, কিন্ত প্রকৃতির অভিশাপ বুকে নিয়ে তাঁর জীবন অতিবাহিত হয় । পরবর্তীতে আমরা কবির প্রতিচ্ছবিতে ফুলের মালা পরালেও কাঁটার মালায় সজ্জিত কবি তা জানতেও পারেন না । কবির বিচ্ছেদে কাতর কবিতাও রহস্যময়ী হয়ে সব পাঠককে কবির হৃদয় ছুঁতে দেয় না । কবিকে না জানলে তাঁর কবিতার রসগ্রহণ খুব কঠিন ।"


২৩। “মুহূর্তের মধ্যে থাকে জীবন
প্রতিটি জীবনের থাকে নিজস্ব ইতিহাস i
সেই ইতিহাস হয়ে ওঠে কবিতা...
কবির আত্মজীবনী!”

২৪। "একটি কবিতার পাতা কোন মানুষের কাছে ছেঁড়া কাগজ, আবার কোন মানুষের কাছে জীবন দলিল । এই রহস্যময় উপস্থিতি কবিতাকে, সাহিত্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ।"


২৫। "যেখানে বাংলা ভাষা, সেখানে ভালোবাসা ।"


২৬। "রবীন্দ্রসাহিত্যকে মানব অনুভূতির মিউজিয়াম বলা যায়, যা মানুষের লুপ্তপ্রায় অনুভূতিকে পুনর্জীবন দান করে ।"


২৭। "সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঠক-পাঠিকার রুচি অনুযায়ী কবি, লেখকরা লিখতে শুরু করলে, অর্থনীতি লাভবান হলেও কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বসাহিত্য অন্ধ হয়ে যাবে । মানুষের চিরাচরিত ভালোলাগাকে পরিবর্তিত করার প্রচেষ্টাই একজন সৃজনশীল মানুষের সাধনা ।"


২৮। "কবিতাকে নানা কোণ থেকে পাঠক, পাঠিকা, সমালোচকেরা কাটাছেঁড়া করে বিভিন্ন মণিমাণিক্য আবিষ্কার করতে পারে এবং সর্বশেষে কবির রক্তাক্ত জীবন্ত হৃদয় খুঁজে পায় । এই হৃদয়কে উপেক্ষা করে কবিতাকে আত্মস্থ করা অসম্ভব । কবিহৃদয় হল কবিতার আত্মা ।"


২৯। "আমরা অন্য মানুষদের নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করে থাকি, তাই বারবার বুঝতে গিয়ে ব্যর্থ হই । যদি সেই মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাকে বিচার করতে পারি, তবে সহজে সেই মানুষকে বোঝা যায় এবং খুব ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় । সাহিত্য আমাদের সেই দৃষ্টি দান করতে প্রবলভাবে সক্ষম ।"


৩০। "একজন স্বাভিমানী কবি আমাদের কি দিতে পারেন! ভোগবাদী ব্যবস্থার কোন উপকরণ তিনি দিতে চান না, দিতে পারেন না মিথ্যা সহানুভূতি, আশ্বাস । তিনি নিজের প্রাণের কথা, অন্যের প্রাণের কথা, প্রকৃতির প্রাণের কথা তাঁর কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেন । তিনি মানুষ সহ বিশ্বের সমস্ত প্রাণী এবং প্রকৃতির ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান । তিনি সত্যকে আঁকড়ে সমস্ত মিথ্যার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন । ক্ষমতাবানরা কখনও প্রকাশ্যে, কখনও গোপনে কবির ব্যক্তিগত জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে । তবু তিনি মাথা নত করেন না । তিনি লিখতে থাকেন আমাদের কথা, আমাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ । আমরাও কৃতজ্ঞচিত্তে যুগ যুগ ধরে হৃদয়ের সিংহাসনে তাঁর আসন পেতে রাখি । তিনি আমাদের জীবনে পরমাত্মীয় হয়ে বেঁচে থাকেন ।"

৩১। "সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পকলা যতই উৎকৃষ্ট, ধ্রুপদী হোক না, যদি মানুষকে সত্যের পথ, মানবজাতির মঙ্গলের পথ না দেখাতে পারে, তবে তা ধীরে ধীরে গুরুত্বহীন হয়ে যায় ।"


৩২। "একজন বৈজ্ঞানিক এবং একজন কবির মধ্যে মিল কোথায় বলুন তো, দু'জনেই সত্যান্বেষী ।"


৩৩। "বই পড়লে জ্ঞান হয় । সেই জ্ঞান আত্মশুদ্ধি ঘটায় । আত্মশুদ্ধি মহৎ কর্মে প্রেরণা যোগায় । গ্রন্থ না পড়লে মহৎ কর্ম করা খুব কঠিন ।"


৩৪। "লিটল ম্যাগাজিনের কোন সংখ্যা সাধারণ নয়। সব সংখ্যাই বিশেষ পুনর্জন্ম সংখ্যা ।"


৩৫। "হাজার কবিতা - লেখকদের চেয়ে একজন নিবিষ্ট পাঠক কবিতার জগতে অনেক বেশি অক্সিজেন যোগান । প্রকৃত কবিতা-প্রেমী কবিতা এবং কবির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।"


৩৬। "সাধারণ মানুষ যখন কাঁদেন, ঈশ্বর স্থির। কবি যখন কাঁদেন, ঈশ্বর প্রলয় ডেকে আনেন।"


৩৭। "কবিতার শহর কলকাতা। কবিদের দেশ নদীয়া ।"


৩৮। "মহাকালের বিচারে সেই লেখা উত্তীর্ণ হয় , যার মধ্যে উত্তরণ আছে । উত্তরণের পথ তিনি দেখাতে পারেন , যিনি সেই পথে হাঁটছেন । বৃহৎ এবং শক্তিশালী মনের মানুষ না হলে কোনও লেখক কী সেই পথ পাড়ি দিতে পারেন !"


৩৯। "একদিন সেই সূর্য উঠবে । যার চৈতন্যময় আলোকে চারিদিক আলোকিত হবে । আমরা সেই আলোর প্রত্যাশী ।"


৪০। "যে কবি যৌনতাকে শারীরিক প্রভাব কাটিয়ে আত্মিক বা নৈসর্গিক করে তুলতে পারেন, তিনি হবেন যৌনতা বিষয়ক কবিতা রচনার অধিকারী ।"


৪১। "আজও ভারতীয় নারীরা সহস্রাব্দ অতিক্রান্ত ভারতীয় সংস্কৃতির গুপ্তধনে সিদ্ধ । তাই তাঁদের সাহিত্য- সংস্কৃতিতে মানবিক বোধের পরিচয় স্পষ্ট ।"


৪২। "বর্তমান সময়ে ডিগ্রি ধারীর পূজা চলছে । ডিগ্রি তো তাপমাত্রার পরিচয় । আলোর উৎস প্রকৃত বিদ্বান মানুষেরা ।"


৪৩। "বুদ্ধিজীবী নয় , প্রকৃত বুদ্ধিমান মানুষের বড় প্রয়োজন ।"


৪৪। "প্রকৃত শিল্পী আত্মা দ্বারা আত্মাকে আত্মাতে দেখে আত্মমুক্তির পথ খুঁজে পান ।"


৪৫। "বড় মনের মানুষ শুধু বড় কবি , লেখক , শিল্পী হন না । তিনি বড় মানুষ হয়ে ওঠেন । এটাই পরম প্রাপ্তি ।"