তেপান্তরে যাইনি আমি
আজ বৃদ্ধাবাস আমার ঠিকানা
পক্ককেশে ঝাপসা চোখে
কাছের মানুষ সামনে দেখিনা
যমুনার নীল জল কেন
শুধু জমে আঁখির কোণে
হিমালয়ে জমা বরফ সবই
ঝরে পড়ে আমার প্রাণে
লাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে
আমরা ধরতাম কত সুর
কত কাছে ছিলাম আমরা
আজ যে কত দূর
শ্যামসুন্দর আজ তোমায়
পড়ছে শুধু মনে
আমি শর্বরী আছি অপেক্ষায়
তুমি কোনখানে ।


কলেজের সেই অফপিরিয়ডগুলি
আজও কী তোমার মনে আছে
গুটিগুটি আমরা বেরিয়ে পড়তাম
দাঁড়াতাম ঐ দূর শিমূল গাছে
রৌদ্র শেষে বিকেল নামত
কলেজ শেষের ঘণ্টা বাজত ঢং
মুখ বেকাতো ওরা সবাই
বলতো দেখরে কলির রং
আসতে যেতে ধানের শিষ
শুধু ভালবাসত তারা
আসতে যেতে তুমি আমায়
বলতে কত মজার ছড়া
শ্যামসুন্দর আজ তোমায়
পড়ছে শুধু মনে
আমি শর্বরী আছি অপেক্ষায়
তুমি কোনখানে ।


আমার বাবা পয়সাওয়ালা
তাই গেলাম পরের ঘরে
শ্রেনিশত্রুতার ছোবল খেয়ে
তুমি হলে যে ভবঘুরে
স্বামী পেলাম সংসার পেলাম
ভাবলাম এবার হব সুখী
বুঝিনি প্রথম প্রেম হারায় যার
সে যে জন্মদুঃখী
যমে নিল স্বামী
বৌ নিল ছেলে
আদরের মেয়ে জামাই-এর সাথে
গেল আমায় ফেলে
শ্যামসুন্দর আজ তোমায়
পড়ছে শুধু মনে
আমি শর্বরী আছি অপেক্ষায়
তুমি কোনখানে ...!