এলোমেলো চিন্তারা সব ভিড় করেছে মনে,
হট্টগোলে যায় না টেকা লাগল তালা কানে।
নিদ্রাদেবী চোখের পাতায় যেই না করে ভর,
বেয়ারা সব চিন্তাগুলো আসে পরের পর।
চিন্তাদেরও মগজ আছে চিন্তা তাতে ঠাসা,
রাতের বেলা হলেই শুধু ফোটে তাদের ভাষা।
লেকচারের ভঙ্গিতে সব জ্ঞানের বুলি কয়,
সিলেবাসটা বেজায় বড় আমার কি তা সয়!
অতিমারি কাটবে কবে ভ্যাকসিন কি আসবে?
পথের শিশু ক্ষিদের জ্বালায় আর কতো মরবে?
লকডাউনের গেরোয় এবার চাকরি বুঝি যায়,
স্বপ্নগুলো যাচ্ছে পুড়ে পরছে বেড়ি পা'য়।
রেশন মেরে নেতারা সব হচ্ছে কোটিপতি,
অর্থনীতি মাটির ধুলোয় খাচ্ছে লুটোপুটি।
জীবাণু'র সংক্রমণে মরণ যদি হয়,
দেহ তাদের ছুঁতে যেতে পাচ্ছে সবাই ভয়।
বেওয়ারিশ তকমা এঁটে ঢুকছে দেহ মর্গে,
আত্মাগুলোর জুটবে কি ঠাঁই নরক কিংবা স্বর্গে?
প্রশ্ন তাদের কঠিন অতি উত্তর নেই জানা,
চুপটি করে শুনি কেবল করতে নারি মানা।
কবে যে ছাই চিন্তাগুলো ঘুচবে মগজ থেকে,
ঘুমের দেশে দেব পারি চিন্তা শিকেয় রেখে।
বিঃ দ্রঃ - কবিতাটি করোনা অতিমারির প্রাক্কালে লেখা হয়েছিল। তখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়নি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতেই এই কবিতাটি রচিত হয়েছিল সেসময়। কোনও ব্যক্তি, জাতি, জনগোষ্ঠী অথবা রাজনৈতিক ভাবাবেগকে আঘাত করার লক্ষ্য না নিয়েই কবিতাটি রচিত হয়।