নিমিষহারা নয়নে খুঁজিও
( সহিদীয়া সঙ্গীত_১১)


যেদিন রজনী হবে অপূর্ব দীপ্তিমিান্ ,
সেদিন নিমিষহারা নয়নে খুঁজিও তোমার প্রিয়জন।
প্রিয়জনের প্রিয়মুখ দেখিবার লাগি,
ছুটিও তার কাছে সকল ত্যাগী।
তার অনুষঙ্গে জীবন করো অম্লান,
যেদিন রজনী হবে অপূর্ব দীপ্তিমিান্ ,
সেদিন নিমিষহারা নয়নে খুঁজিও তোমার প্রিয়জন।


যেদিন অধিক দীপ্তি পাবে তারা ভরা আকাশ,
সেদিন নিয়ন্তাকে সত্তহীনে করিও তালাশ।
তালাসে যদি পাও তাহার দিদার,
চির অমর হবে জীবন তোমার।
দিদারের পর হয় যেন জিবনবসান,
যেদিন রজনী হবে অপূর্ব দীপ্তিমিান্ ,
সেদিন নিমিষহারা নয়নে খুঁজিও তোমার প্রিয়জন।


যেদিন রজনী না হবে গরম- না হবে শীতল,
সে রাতে সখাকে খুঁজিও অবিরল।
অপেক্ষায় থেকো বসে সাজিয়ে আসর,
উজ্জ্বল হবে যখন ফুলের বাসর।
মনের হরষে গাইও মিলনের গান,
যেদিন রজনী হবে অপূর্ব দীপ্তিমিান্ ,
সেদিন নিমিষহারা নয়নে খুঁজিও তোমার প্রিয়জন।


প্রিয়াকে পাবার আশে, দিবসে উপবাসী,
পুছিও তাকে তুমি, যেদিন বিজোড় নিশি।
আরাধনায় মিষ্টতা মিলবে যবে,
বুঝে নিয়ো প্রিয়া তোমার এসেছিলে তবে।
তাঁহার উদ্ভাসে জীবন হবে মহীয়ান,
যেদিন রজনী হবে অপূর্ব দীপ্তিমিান্ ,
সেদিন নিমিষহারা নয়নে খুঁজিও তোমার প্রিয়জন।


নিবিষ্টতায় যেদিন পাবে সুখের প্রখর দ্যুতি,
সেদিন তোর আসরে আসতে পারে পতি।
পতি বিনে নাইরে গতি, নাইরে কোন উপায়,
শক্তি থাকতে কর ভক্তি পতির সুপ্ত পায়।
পতি যদি থাকে তৃপ্ত, সার্থক দু’জাহান,
যেদিন রজনী হবে অপূর্ব দীপ্তিমিান্ ,
সেদিন নিমিষহারা নয়নে খুঁজিও তোমার প্রিয়জন।


মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম