যেন জেগে ওঠা, যেন প্রলম্বিত শীতঘুম ভাঙা!
কখন যে চলে গেল বিরহী বসন্ত, বুঝিনি ঘুণাক্ষরেও।
তাই এই সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, এই পৌঁছে যাওয়া ছাদে,
সেখানে নিভৃত চিলেকোঠার প্রান্ত থেকে দেখি
অনেকটা দূরে অস্পষ্ট গাছের পাতার আড়ালে
নিশ্চুপ বসে আছে অভিমানী কোকিল।


হয়তোবা ডেকে ডেকে ক্লান্ত অথবা অভিমানে চুপচাপ।
তবুও বরাবর চেয়েছি এমনই শুভময় ঘুম,
চেয়েছি তোমাকে ঝাপসা ঘরের মায়াবী আলোয়।
বসে আছো পাতালপুরীর রাজকন্যের মতো,
সোনা-রুপোর কাঠির বদলে হাতে আছে
পশমের গোলা।


এক মনে বুনে চলেছ শীতের সোয়েটার;


হয়তো বুঝেছ-
এক মাঘে যায় না শীত, এক ফাগুনেও যায় না বসন্ত।
তাহলে কিসের অভিমান? ওই দেখো, বুননের তালে তালে
দোল খায় তোমার পশমের গোলা আমারই এই বুকে...