অল্পতেই খুশি ছিল মহাদেব আঢ্যি
পেশী ছিল কম তার বেশি ছিল হাড্ডি
বারো মাস হাঁসফাঁস সর্দিতে নাক তার
রোজগারের অর্ধেক নিয়ে নিত ডাক্তার
যদিও চাকরি ছিল আট-দশ হাজারি
অর্ধেক ছিনিয়ে নিত দাউ দাউ বাজারই
মাস শেষে তিন দিন ভিখারীর দশা
অনশনে ছুটে যেত নস্যিরও নেশা,
তবুও সে খুশি ছিল মুখে ছিল হাসি
একবার গরম খেতো দুইবার বাসি,
রেঁধে দিত বুড়ি মা চলে যেত বেশ,
হঠাৎই করলে ত্যাগ শেষ নিঃশ্বেস,
ভেবেই পায় না কূল কি করে না করে
ঘটকের হাত ধরে বউ এলো ঘরে।


নানা রকম বায়নায় মুখর বিবি
পুরনো বদলে চায় এল ই ডি টিভি,
একদিন বেড়াতে গিয়ে সে যে কি লজ্জা,
মার খেয়ে নিতে হলো তিন দিন শয্যা
দুই  জন  টানছিল  গৃহিনীর  হাত
প্রতিবাদে ওই দশা,হতে হলো কাত,
চোখে দেখে মহাদেব যেন সর্ষে ফুল,
ভাবে মনে বিয়ে করে করেছে সে ভুল।


গৃহিনী রূপেতে  নয়, গুনে ছিল সীতা
কবিরাজ দাদু তার,ব্যায়ামবীর পিতা।
নাক টিপে আঢ্যির খাওয়ালো বাসক
চিকিৎসার পয়সায়  পুরা হলো শখ,
স্বামীকে উঠিয়ে ভোরে দিতে বলে ডন,
তিন  মাস  পরে আঢ্যি  যেন অন্য জন,
ছোকরারা মান্য করে,দেয় খুব দাম,
ডাক্তারও ভুলেই যায় আঢ্যির  নাম।
-------------
ব্যস্ততার কারণে বেশি কবিতা পড়তে পারছি না বলে দুঃখিত।