অনেকেরই  কবিতা লেখায় হাতে খড়ি হয় প্রথম প্রেমে পড়ার পরই।অনেক প্রতিষ্ঠিত কবির জীবনেও এরকম ঘটে থাকতে পারে।কিন্তু আজকের লেখাটির বিষয়বস্তু তা নয়।বরং এর উল্টোটা।অর্থাৎ প্রেমে পড়ে কবিতা লেখা নয়, কবিতা পড়ে প্রেমে পড়া।
        
       কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা পড়ে বহু বঙ্গ-ললনা তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন এ কথা আমরা সকলেই জানি।


       কিন্তু আজকের আলোচনার মূল বিষয়টা তা নয়। অলক্ষ্যে থাকা কোন কবির কবিতা পড়ে কেউ যদি প্রেমে পড়ে তখন সেটাকে কী বলা যায়? সত্যিই কি সেটা প্রেম? নাকি  অন্য কিছু ?


         ব্যক্তিগতভাবে  বলতে পারি, কোন পাঠিকার অনুরাগ মন্দ লাগে না, বরং নির্ঝরে অবগাহনের মতো এক ধরণের ভাল লাগা দিনগত পাপক্ষয়ের মাঝে বেশ তৃপ্তি দেয়!ব্যস, ঐ পর্যন্তই, এর বেশি কিছু নয়।তার মানে এই নয় যে, কোন পাঠকের মতামত ভাল লাগে না, অবশ্যই লাগে, বিশেষত কিছু পাঠকের সুচিন্তিত মতামত খুবই অনুপ্রেরণার কাজ করে।কিন্তু এখানে আমি অন্য একটি বিশেষ প্রসঙ্গের অবতারণা করতে চাইছি।সেটি হলো, এই আসরে খুল্লামখুল্লা প্রেম নিবেদন করা কতটা সমর্থনযোগ্য? এটি তো একটি কবিতা চর্চার ওপেন  সাইট, সবাই সবার মন্তব্য পড়তেই পারে।তাহলে  কবি-পাঠিকা আর কবিনী-পাঠকের মধ্যে আলাপনে সীমারেখা থাকা ঊচিত, না কি উচিত নয়? ( এডমিন সীমারেখা বেঁধে দিয়েছেন বলেই প্রসঙ্গটির অবতারণা)। তাছাড়া প্রেমজ -অনুরাগ আর কবিতা-অনুরাগ, দুটি কি সমার্থক?
আপনার কী মনে হয়?