মনে ছিল আশা, শিখি সেই ভাষা কায়া যে ভাষা বোঝে
খরায় শুষ্ক ভূমি মেঘের কদম চুমি চাতক বৃষ্টি খোঁজে।
জানে এই মন, মধুর 'যৌবন' বিধাতার অপূর্ব দান
তোকে যদি পাই রাখিতে যে চাই বিধাতার সম্মান।


মদির চাহনি রূপের সে খনি উন্মুক্ত হবে আজ
আয় আয় তোরা বসন্ত-পাখিরা ফেলে রেখে সব কাজ
সে অচিন পুরে সাজানো থরে থরে অরূপ রতন
বিধাতা শুভক্ষণে বানায় যতনে  রমণীর এ তন
এ মহা ভুবনে রয়েছি দুজনে আর সবই লাগে মিছে
বাকি যত দায় সবই যে হারায় চলে যায় সব পিছে
ঘুম ভেঙে আজ জাগে নাগরাজ মিলেছে মাথার মণি
মেলে যেই ধন দিয়ে শুধু মন, সেই ধনে হব ধনি।
পূর্ব-রাগেতে রাঙা হতে হতে জাগে শিহরণ
ফুলে ফুলে হেন অলি করে যেন মধু আহরণ
লাজে রাঙা বঁধু আঁখি মোদে শুধু কাম-জ্বরে থর থর
"চাও চোখ মেলি এ কাঙালের ঝুলি প্রেম-ধনে তুমি ভরো"
পেঁয়াজের খোসা যেন অমানিশা ঝরে পড়ে একে একে
এ মন পিপাসা মেটায় যে আশা আঁখি মেলে শুধু দেখে
শরীর-সাগরে জানিনা কী করে ভেসে ওঠে দুটি দ্বীপ
উজ্জ্বল দুই আলো, ঘুচিয়ে ঘরের কালো জ্বলে যেন টিপ টিপ।
                                    (চলবে)
*(আমার মনে হয় দুজন নারী-পুরুষের মধ্যে ঘাত-প্রতিঘাতে যে প্রেম গড়ে ওঠে তার মধ্যেও থাকে এক অদৃশ্য ছন্দ,তাই এই প্রেম-কাহিনীটাকে ছন্দময় কবিতার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি,আপনাদের ভালো লাগলে তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে।যাঁরা আগের পর্বগুলো পড়েননি তাঁরা যদি সেগুলো পড়ে নেন তাহলে ঘটনা-পরম্পরা বুঝতে সুবিধা হবে,ধন্যবাদ।