ছাদের উপর অলিরা যখন ফুলে বসে খায় মধু
মেঘলা বিকেলে সব কিছু ফেলে তোর কথা ভাবি শুধু


জীবন-মাঝারে কী মধু আছেরে বুঝতে পেরেছে মন
এই ধরণীর স্বচ্ছ রমণীর প্রেম-ভরা চুম্বন।
কপালের ফেরে ভাইরাল জ্বরে আমি যে নিলাম শয্যা;
দু নয়নে তোর স্বপ্নের ঘোর,নাকি শুধুই সেখানে লজ্জা
হলনা যে দেখা একুশটা দিন, কী নিদারুণ কষ্ট;
চুম্বনে মোরা শুদ্ধ হয়েছি হইনি মোটেই ভ্রষ্ট।
সাজতো মেয়েরা অন্য পোশাকে তুই পরতিস শাড়ি
দেবীর মতোই লাগতো তোকে নয়রে বাড়াবাড়ি
চাইনা কিছুই তোর কাছে মুই বসবি শুধুই সম্মুখে
তাতেই আমার নয়নদুটি ভরবে জানি প্রেম-সুখে।


সেদিন যখন গেলাম আমি একুশ দিনের পরে
সিঁড়ির ধাপে বসে আছিস,পাশের উনি কেরে?
বললি না তুই মুখে কিছুই,গল্পে মেতে গেলি
বুকখানি মোর ভেঙে দিয়ে সুখটা কী তুই পেলি?
"জামাইবাবু হবে যে ওর জানিস না তুই বোকা"
বললো রিমি কানে কানে,"বিয়ের কথা পাকা"।
রোজ টিফিনে আসে নাকি গল্প করে দোঁহে
হোক না হবু জামাইবাবু, পড়লো কি ওঁর মোহে?
এই ভাবনায় মুখটা আমার অমাবস্যার রাত
ঘুম আসে না চোখে আমার রোচে না যে ভাত।
তাপস পালের 'দাদার কীর্তি' ছায়াবাণী হল-এ
চলছে তখন রমরমিয়ে দারুণ ছবি বলে।
ব্ল্যাকবোর্ডে 'বোনের কীর্তি' পড়লো আমার চোখে
যতই ভাবিস সাচ্চা যে তুই শুনবে কি আর লোকে?
                                        (চলবে)