প্রেমের বাষ্প জমছে বুঝি দেহাকাশের  কোণে
তপ্ত শরীর শীতল হবে জাগছে আশা মনে
কী অপরূপ সৃষ্টি বিধির নারীর কোমল দেহ
দর্শনে তার জাগে মনে শ্রদ্ধা-প্রেম-স্নেহ।


মেঘটা সরে উদয় হলো দুইটি চাঁদের জ্যোতি
সেই জ্যোতিতে মাতাল হলো আমার আকুল মতি
আলিঙ্গনে আমার বুকে চাঁদের সমর্পণ
বিজলি-ছটা শরীর জুড়ে মধুর শিহরণ!
মন-বাগিচায় কোকিল ডাকে জ্যোৎস্না-আলোয় ভিজে
পাই না ভেবে মাতাল মনে করবো এখন কী যে!
কোমল গোলক লেপ্টে আছে আমার নগ্ন বুকে
কাঁধের থেকে মুখটা তুলে খাই যে চুমু সুখে;
মলয় বাতাস বইছে বুকে রুধিরে বইছে স্রোত
উষ্ণ শোণিত বলছে যেন,' গোপন অঙ্গ পোঁত'।
নতুন দেশের খোঁজে ঝাঁপাই কলম্বাসের মতো
থাকতো যদি কম্পাস তবে বড়ই ভালো হতো;
আবিষ্কারে সফল হলে কেমন লাগতো তাঁর?
আমার মতোই পার হয়ে এই দুস্তর পারাবার।
                                (চলবে)
(আমার মনে হয়, মাঝে মাঝে ছন্দপতন ঘটলেও দুটি নারী-পুরুষের মধ্যে তিলে তিলে  গড়ে ওঠা প্রেমের মধ্যে একটা অদৃশ্য ছন্দ থাকে,তাই এই প্রেমকাহিনী-টাকে ছন্দময় কবিতার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।আপনাদের ভাল লাগলেই এ প্রয়াস সার্থক হবে।যাঁরা আগের পর্বগুলো পড়েননি তাঁরা যদি সেগুলো পড়ে নেন তাহলে ঘটনা-পরম্পরা বুঝতে সুবিধা হবে। ধন্যবাদ।)