ঈশ্বর না কি দেখা দেন তাঁকে আছে যার অপার ভক্তি
পিয়ার সঙ্গে ঘটালো  সাক্ষাৎ প্রবল ইচ্ছা-শক্তি
আলোকসজ্জার মোহ-জাল আর টানতে পারে না চিত্ত
সম্মুখে মোর দাঁড়ায়ে রয়েছে জগতের সেরা  বিত্ত
কর্ণ কুহরে করে না প্রবেশ কালজয়ী সব গান
হৃদয়ে বাজিছে মধুর সেতার ভরিয়া উঠিছে প্রাণ
একচ্ছত্র সম্রাট আমি মহা বিশ্বের মাঝে
শরৎ-সেবিকা চামর দোলায়,জয়ের ডঙ্কা বাজে
কী অপরূপ অনুভব এ, প্রকাশের নেই ভাষা
আর যেন কিছু চাওয়ার নেই, মিটেছে সকল আশা।
লজ্জা জড়ানো রক্তিম মুখে মুক্তো ঝরানো হাসি
মার্জারাক্ষি কহিছে আমাকে,"তোমাকেই ভালবাসি"
মধুর হাস্যে পিয়ার দিদি ডেকে নিল মোরে কাছে
পরান-কোকিল গেয়ে ওঠে গান,্মনের ময়ূর নাচে।
সমাজের চোখে বৈধ নয় যে আমাদের সম্পর্ক
প্রেমিক-হৃদয় শান্তি যে চায়, চায় না কোন বিতর্ক
তাই বুঝি পিয়া বদন নামায়,সঙ্গে যে আজ দিদি
তার চোখে যে পড়লে ধরা বাম যে হবে বিধি।
ফুচকা-ওলা দাঁড়িয়ে আছে সাজিয়ে তার পসরা
বললো পিয়া কানে কানে,'মিলবো মাসের দোসরা'
ফুচকা খেয়ে সবাই মিলে দাঁড়িয়ে পড়ি লাইনে
দেবী-দর্শন করবে ওরা, আমার দেবী পিছনে।
                                
(আমার মনে হয়, মাঝে মাঝে ছন্দপতন ঘটলেও দুটি নারী-পুরুষের মধ্যে তিলে তিলে  গড়ে ওঠা প্রেমের মধ্যে একটা অদৃশ্য ছন্দ থাকে,তাই এই প্রেমকাহিনী-টাকে ছন্দময় কবিতার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।আপনাদের ভাল লাগলেই এ প্রয়াস সার্থক হবে।যাঁরা আগের পর্বগুলো পড়েননি তাঁরা যদি সেগুলো পড়ে নেন তাহলে ঘটনা-পরম্পরা বুঝতে সুবিধা হবে। ধন্যবাদ।)