(উৎসর্গঃ আসরের সকল কবি-বন্ধুকে)


একটি একটি করে রোপণ করেছি কচি চারাগাছ
হঠাৎ পাওয়া খোলামেলা উর্বর আঙিনায়,তোমরা
এসেছো,বসেছো দন্ড দুই আমার লাগানো গাছের
ছায়ায়,হয় তো বা কোন গাছ দিয়েছে মলয় বাতাস
কোনটা বা ঝড় তুলেছে বুকে,কোনটা ঝরাপাতা হয়ে
ক্লান্ত পথিকের বাড়িয়েছে বিরক্তি।


জানি না কোন্ গাছ ঝড়-ঝাপটা সামলে থাকবে টিকে
কোন্ গাছ ফোটাবে ফুল দেবে ফল,কালই জানে সে কথা
আমি জানি শুধু, তোমরাই আমার পরম যত্নে লাগানো
গাছে দিয়েছো জল, দিয়েছো সার, বাড়িয়েছো বন্ধুত্বের
হাত,তোমাদের সহায়তা ছাড়া টিকতো না একটিও জানি,
তোমরা না এলে সাজানো বাগান যেত শুকিয়ে
সে কথাটাও মানি।বিধাতার কী অপরূপ লীলা!পঞ্চাশটা
দিন আগেও যারা ছিল পরিচয়হীন দূরের গ্রহে, আজ
যেন তাদেরই নিঃশ্বাসের উষ্ণ বাতা্স চোখের পল্লবে
জাগায় বন্ধুত্বের শিহরণ!


কে জানে কেন,পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে ঘৃণা বিদ্বেষ নির্যাতন
স্বার্থপরতা হানাহানির দৃশ্য আমার বুকের ভিতরে চাপা
কান্নার বরফ জমায় বরাবরই! আবার শত্রুকেও যখন
কারও ভালবাসার পরশ পেতে দেখি বুকের ভিতর
অনুভব করি এক ব্যাখ্যাতীত অনাবিল আনন্দ!আমিও
ভালবাসা পেতে বড় ভালবাসি।হাজার ক্ষোভের জমাট-
বাঁধা বরফও গলে যায় একটুখানি ভালবাসার উষ্ণতায়।


পরিশেষে জানাই শুভ কামনা : মঙ্গল হোক সবার,
যাদের এই ক্ষুদ্র মানব-হৃদয়ে দিতে পারিনি ঠাঁই
তাদেরও শুভ হোক অন্তর থেকে চাই
সকল গ্লানি মুছে যাক সবার হৃদয় হতে।


অন্তর থেকে বিশ্বাস করি,যারা কাব্যকে ভালবাসে,
কাব্য সাধনা যাদের প্রিয় শখ,তারা আলাদা জগতের
মানুষ,পৃথিবীর ক্ষুদ্রতা তাদের হৃদয়কে কলুষিত
করতে পারে না।তাই এই অপকৃষ্টির অক্টোপাশে
জর্জরিত যুগে তোমাদের সংস্পর্শে আসতে পেরে
বড়ই ধন্য মনে হয় নিজেকে।তোমাদের কাছে শুধু
ভালবাসাটুকু ছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই আমার।