(ডানা-সিরিজের পঞ্চম ও শেষ পর্ব)


শুঁয়োরাজা ফিরে এসে দেখে, ভিড় জমেছে ঘরে
ফর্সা-মোটা সেই বঊটাকে শুঁয়োরানি জেরা করে,
--কাল রাতে তুমি পার্টি ছেড়ে কেন খুকুর ঘরে ছিলে?
--বাথরুম থেকে বেরোতেই খুকু হাত ধরে টান দিলে।
বললে,আমার ঘরে এসো,একা একা লাগছে না যে ভাল,
তোমার সঙ্গে খেলবো আমি, এক্ষুণি তুমি চলো'
আমি বলি,আজ নয় খুকু অন্য দিনে খেলবো তোমার সাথে,
পার্টিতে আমায় যোগ দিতে হবে আজ অনুষ্ঠানের রাতে'
অমনি খুকু পিচকারি দিয়ে রং ছুঁড়ে দিল মুখে
বললে,যাও পার্টিতে,রং লেগে আছে মুখে পিঠে বুকে'
তারপর হাতটা ধরে জোর করে টেনে নিয়ে গেল ঘরে
একটা রুমালে সব রং মুছে বললে,বোসো চুপটি করে
সাপ-লুডো খেলবো তোমার সাথে,শর্তটায় হও রাজি
যা চাইবে দিতে হবে তাকে জিতবে যে এই বাজি'
ছোট্ট মেয়ের মন রাখতে চালিয়ে গেলাম খেলা
চালাকি করে জিতলো খুকু, চাইলো আমার মালা।


শুঁয়োরাজা বললে, ছাড়োতো ওসব,এটা নয়কো কারও চাল
সাইকোলজিস্টকে দেখাতে হবে,ডেট পেয়েছি কাল।
এমন সময় শুঁয়োরাজার ফোনটা উঠলো বেজে
প্রজাপতি বললে হঠাৎ,ওটার ভিতর ভূত ভরেছে কে যে?'
শুঁয়োরানি ছুটে গিয়ে টেবিল থেকে ফোনটা এনে ঘাঁটে
'কি যে হলো খুকুমণির?' বুকটা যে তার ফাটে;
ভূত দেখেছে এটার ভিতর আমার খুকুমণি?
ঘাঁটতে ঘাঁটতে মোবাইলে দেখলো শুঁয়োরানি,
বিকৃত রুচির পর্নে ভরা ফোনের ভিডিও ফাইল
বুঝলো,প্রাণবন্ত মেয়েটার হাল কেন এত কাহিল।
অগ্নি চোখে শুঁয়োরাজাকে চিৎকার করে বলে,
এসব কি ভরেছো শুনি,তুমি এমন তলে তলে?'
--সিধু কাল পার্টিতে ওসব দেখাচ্ছিলো তার ফোনে
পাঠিয়ে দিয়েছে আমার ফোনে,একটুও ছিল না মনে।'
এক আছাড়ে দামী মোবাইল ভাঙলো শুঁয়োরানি
প্রাজাপতির ডানায় বুঝি শক্তি এল অনেকখানি।
*(বাচ্চাদের কথা ভেবে অভিভাবকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত)