তিন দিন কোন খবর রাখিনি ওর।
মাথা-যন্ত্রণা,গায়ে জ্বর, কাটে নি ঘোর;
মায়ের সেবা, ওষুধ-পথ্যে রবিবারে
দুঃসহ কাল কাটিয়ে উঠলাম সেরে।
যেন কোন এক সাগরে ছিলাম ডুবে,
ভেসে ঊঠেই দেখি সূর্য উঠছে পুবে!
প্রিয়াও এসেছিল বাবা-কাকাকে নিয়ে
কাল দুপুরে, ফলের চুপড়ি সাজিয়ে;
শৈশবে মোর বাবা ছাড়েন ইহলোক,
দাদা ভিন্ন সংসারে, মা অভিভাবক;
মাকেই বলে গেছে প্রিয়ার বাবা-কাকা,
'বিয়ের দিন-ক্ষণ করতে হবে পাকা।'
হঠাৎ দেখি দ্বার ঠেলে ঢুকলো ঘরে
দিয়ার মা,মুখেতে উদ্বেগ ধরা পড়ে,
দিয়ার খবর পাইনি তিনদিন হলো।
বৌদি বললেন,"এখনই একটু চলো,
যাচ্ছো না কেন পড়াতে,হয়েছে কি কিছু?
দিয়াও বলে না, করে থাকে মাথা নিচু,
খাওয়া ঘুম কথা হাসি গিয়েছে ভুলে,
বই নিয়ে বসে না দেখি,যায় না স্কুলে।"


"আমিও ভুগছি বৌদি, তিন দিন জ্বরে,
কাজেও পারিনি যেতে,পড়াবো কি করে?
সুস্থ এখন আমি, ছুটিও আছে আজ,
যাবো আমি সেরে নিয়ে টুকিটাকি কাজ।"


(সাইট-প্রব্লেমে অনেকেই কাল "মোহ ১১" পড়তে পারেন নি দেখলাম।এই পর্বটি বোঝার জন্য সেটি পড়ে নেওয়ার আহ্বান রইলো।১৫ পর্বেই সমাপ্তি টানবো ভাবছি)