তিনশো পঁয়ষট্টিটা ধাপ টপাটপ পার হয়ে যাই,
মোমবাতি নেভাই, কেকটা মুখে গুঁজেই আবার
নতুন করে সিঁড়ি ভাঙা। একটা একটা করে
মোমবাতির সংখ্যা বাড়তে থাকে, কেকের স্বাদটাও
বদলে বদলে যায়।
'অথচ তোমার ঠোঁটের স্বাদটা সেই একই রকম রয়ে গেল
আজও।' একথা তাকে বললেই বলে,'এটা তোমার
আদিখ্যেতা অথবা মন-রাখা কথা।ঘর কা মুর্গা ডাল
বরাবর, কথাটা পুরুষদের ক্ষেত্রে ষোল আনা খাঁটি।'
আমি আর কথা বাড়াই না। কিছু কিছু কথা আছে যেগুলো
কাউকে বিশ্বাস করানো যায় না। বাড়ির বাইরে তো
কাটাতেই হয় বেশ কিছু সময় রুটি-রুজির প্রাথমিক
চাহিদা মেটাতে। ঘরনীরা হয়তো সেই সময়টাতে
কল্পনার জাল বোনে ব্যথা-বিলাসী মনটার খোরাক যোগাতে!


কিছু কিছু কথা আছে যেগুলো সবাইকে বলাও যায় না,
সে যতই কাছের জন হোক না কেন। নিজের ভিতরে
প্যাণ্ডোরার বাক্সের মতই একটা নকশা-কাটা বাক্স থাকে,
তাতে কিছু কিছু কথা জমিয়ে রাখতে হয়,
ঢাকনা খুললেই হয়তো...


তবু এতটা উপরে উঠে নিচের দিকে তাকাই মাঝে মাঝে।
জানি, যেগুলো ফেলে এসেছি সেগুলো ফিরে পাওয়ার
কোন আশা নেই আর, এটা  তো শুধুই একমুখী সিঁড়ি,
উপরেই ওঠা যায় কেবল, চাইলেও নিচে নামা যায় না
কিছুতেই।উপরে উঠতে উঠতে উঠতে উঠতে উঠতে উঠতে
তারাদের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেই...