তোকে কাছে পাওয়ার নেশাটাও কি ছাড়তে পেরেছিলুম সহজে?
তুই তো হুট করে এইট থেকে নাইনে উঠেই শাড়ি ধরলি,
রাতারাতি কিশোরী থেকে হয়ে গেলি নারী,
আমারতো তখন গোঁফও গজায়নি, কেমন করে নিজেকে
পুরুষ প্রমাণ করবো বল?


অথচ স্বপ্নগুলো ঠিক শালা কামানের গোলার মতন
একটার পর একটা বুক লক্ষ্য করে ছুটে আসছে তখন।
আমি তখন অচিন পুরের রাজকুমার, তোকে পক্ষীরাজের
পিঠে বসিয়ে আকাশে উড়ছি হরদম আর রাতজাগা লাল চোখে
ভোরের বাতাসের সাথে শলা-পরামর্শ করছি, কিভাবে
উঁচু ক্লাশের দাদাদের সাথে তোর হাহা হিহি বন্ধ করা যায়!
স্কুল থেকে ফেরার পথে আমাকে সিগারেট টানতে দেখে
বললি, দুধের দাঁতে সিগারেটের ধোঁয়া স্যুট করে না।
আমি কিন্তু স্মার্টলি আর একটা টান লাগিয়ে বলেছিলুম,
' তুই কিন্তু আমার থেকে পাক্কা তিন মাসের ছোট।'


এখন তো সব ধরণের গোঁফ রেখে নিজেকে পরখ করা
হয়ে গেছে। তাই আজকাল আর গোঁফ রাখি না।তবু
মাঝে মাঝে মুখ ভর্তি ধোঁয়া টেনে রিং পাকিয়ে
আকাশের দিকে যখন ছেড়ে দিই তখন সেই ধোঁয়ায়
কখনো- সখনো তোর অবয়ব ফুটে ওঠে, আবার
কখনো-সখনো বলি, যাঃ শালা না পাওয়া ইচ্ছেগুলো
ঐ ধোঁয়ার সাথে আকাশে মিলিয়ে যা।


সেদিন নিউ মার্কেটে ঢোকার মুখে আমাকে সিগারেট
টানতে দেখে অজস্র ঢেউ  পার হয়ে যাওয়ার পরেও
কেমন করে আমাকে চিনলি কে জানে!ঢাউস সাইজের
ভুঁড়িওয়ালা এক স্যুট-টাইকে দেখিয়ে বললি, 'আমার বর'
আর আমাকে দেখিয়ে বললি, 'আমার স্কুলের ক্লাশ-মেট'
আরও বললি, আমার বর কিন্তু সিগারেট খায় না, তুইও
এবার সিগারেটটা ছেড়ে দে।'


ভাবছি ভোরের বাতাসের সঙ্গে আবার শলা-পরামর্শ করে দেখতে হবে।