তুমি কখনো নিজের থেকে বেরিয়ে এই কোলাহল
থেকে দূরের ঐ পর্বত-শিখরে দাঁড়িয়ে পৃথিবীটাকে
দেখেছো কখনো? সেখানে দাঁড়িয়ে যদি দেখো তবে
দেখতে পাবে তোমাকে শুদ্ধু গোটা এই পৃথিবীটাকে।
দেখতে পাবে তোমার পায়ের নীচ থেকে নদীরা জন্ম
নিচ্ছে, তারপর পাথরে ঠোক্কর খেতে খেতে পৃথিবীর
বুকে হামা দিতে দিতে দিতে দিতে দিতে দিতে......
মুখ থুবড়ে পড়ছে সাগরে, এভাবে তাদের পরিচিত
জীবন-কাহিনীটা চাক্ষুস করে নব জন্ম হবে তোমার।
তারপর দেখতে পাবে নিজেকে, দেখবে তোমাকে
ঘিরে রেখেছে শীত-সকালের মতো ঘন কুয়াশা।
তুমি তখন বুঝে নিলে, জোরালো সার্চ-লাইট ছাড়া
গন্তব্যে পৌঁছানোর সঠিক পথটা তার পক্ষে স্পষ্ট
দেখতে পাওয়া সম্ভব নয় একেবারেই।নিজের ঐ
অসহায় অবস্থা দেখে তুমি যখন খুবই বিচলিত হয়ে
পড়বে, ঠিক তখনই দেখতে পাবে একটা আলোর
পাখি তোমার ঐ কুয়াশাচ্ছন্ন কলেবরটাকে ঘিরে
চক্কর দিচ্ছে অবিরত!কিভাবে পাখিটাকে নাগালে
পাওয়া যাবে ভাবতে ভাবতে ভাবতে ভাবতে
ভাবতে ভাবতে..............


পাখিটা যদিও চক্কর দিয়ে চলেছে তখনও, তবুও
সে কেবল একবারই আসে এক এক জনের কাছে!
----------------------------------------------


*বিঃদ্রঃ -- নেট-সমস্যার কারণে কারো কবিতাই ঠিক মতো পড়তে পারছি না বলে দুঃখিত। আশা করি কাল সবার কবিতাই পড়তে পারবো।