অবশেষে এলে রক্ত-গোলাপ হাতে নিয়ে
জ্যোৎস্না-আলোয় পথ চিনে,
সূর্যের অতন্দ্র প্রহরা এড়িয়ে এতদিনে পেলে অবসর
তুমি রাত্রি-রাজ্যে প্রবেশের!
শ্বেত ভালুকের অতর্কিত হামলার ভয়কে উপেক্ষা করে
পাড়ি দিলে বরফের পথ,
অথচ তুমিই কতবার মাঝ পথে গিয়েছো ফিরে
শিয়ালের চিৎকারে ভীত হয়ে,
অপেক্ষার প্রহর গুণে গুণে সরীসৃপের মতো বুকে হেঁটে
আমিও ফিরেছি কতবার...
বাতাসের মুখে কান রেখে জেনেছি দিনের সওদাগর
তোমাকে নিয়েছে কিনে,
সেদিন থেকে আমিও হারিয়ে গিয়েছিলাম গোলোক-
ধাঁধার মতো গহীন অরণ্যে,
সে অরণ্যে সূর্যের আলো অথবা চাঁদের জোছনা প্রবেশ
করতে পারেনি কোন দিন,
আর তুমিও তো জানো আলো ছাড়া এই মর্ত্য-ভূমিতে
কেউ বাঁচতে পারে না কখনোই,
আমিও পারিনি পৃথিবী-জোড়া অসুরদের পরাজিত করে
অমৃতের আধার ছিনিয়ে নিতে,
তবু আজ নিজেকে বড় সুখী মনে হয়,যেহেতু তারাই
রেখে গেছে নিরিবিলি এই সমাধিতলে,
তোমার অনুতাপের উষ্ণতা এই হিমশীতল শরীরে
পৌঁছাবে না আর কোন দিন,
তোমার হাতের ওই রক্ত-গোলাপ যদিও আমার এ
হাত পারবে না ছুঁতে কিছুতেই,
তবু রেখে যাও তুমি সমাধির বুকে, হয়তো তা প্রলেপ
দিতে পারে তোমার বিক্ষত মনে,


অশ্রু কোরো না অপচয়, আমি আজ  পরম শান্তিতে
আছি এই অনন্ত বিশ্রামাগারে,


কামনা-বাসনা মুষিকের মতো ক্ষ্ত-বিক্ষত করে দেয়
পৃথিবীর বুক.....