ব্রহ্মচারী থাকবে শিবু
করেছিল এই পণটা
নিষ্ঠাভরে করতো সে ধ্যান
আনতে বাগে মনটা
মাছ-মাংস এড়িয়ে গিয়ে
শাক-সবজিই খেতো
গরম মুভি দেখতো না সে
নাম-গানে সুখ পেতো
নামাবলী থাকতো গায়ে
নেড়া হতো রোজ সকালে
কেন যে সে ভোগের যুগে
সাধু হলো এই অকালে
পায় না ভেবে মা-বাবা তার
বোঝায় নানান ভাবে
ব্ংশরক্ষার স্বপ্নটা কি
বিফল হয়েই যাবে?
একটাই যে ছেলে তাদের
পাশ দিয়েছে এম.এ.
রূপে যেন নদের নিমাই
পাগল পতিত-প্রেমে
চাই বুঝি এক মেনকাকে
ভাঙতে শিবের ধ্যান
আনতে হবে জুঁইকে ডেকে
করলো মা তার প্ল্যান
জুঁই হলো তাঁর সখীর মেয়ে
দারুণ রূপবতী
যেন এক শরীরে বাঁধলো বাসা
লক্ষ্মী-সরস্বতী
জুঁই এল বেশ সেজেগুজে
ঢাকলো গোপন ব্যথা
বললে,"আমায় বলতে হবে
তোমার মনের কথা,
কেন তোমার এমন দশা
বলো আমায় খুলে
আমি তোমার বন্ধু ছিলাম
গেলে কি সব ভুলে?"
-"যেদিন তুমি বলেছিলে
'আছে আমার প্রেমিক'
সেদিন আমি 'থাকবো কুমার'
করেছিলাম ঠিক।"
জুঁই বললে, "প্রেমিকটা কে
জানতে কেন চাওনি?
আমার চোখে নামটা তোমার
খুঁজে কিগো পাওনি?
পুরুষ হয়েও লজ্জা এত
চাওনি মুখের দিকে
বিড়াল যদি ধ্যান করে যায়
ছিঁড়বে কি আর শিকে?"
অমনি শিবু মুখটা তুলে
দেখলো জুঁইয়ের মুখ
দুই বাহুতে জাপটে ধরে
ভরলো যে তার বুক
বললে, "মায়ের ইচ্ছে ভীষণ
এক্ষুণি দেয় বিয়ে
আসবো নাকি সেজেগুজে
মাথায় টোপর দিয়ে?"
জুঁই বললে, "চাই না যেতে
নেড়া স্বামীর ঘরে
পাঁজি দেখে ঠিক করো দিন
চুল গজানোর পরে।"